প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:৪২:৫৮আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৮:০৬:১৯
ঈদ শুভেচ্ছা: ডাকবাক্স থেকে ফেসবুকে
মনোনেশ দাস, ঢাকাটাইমস
বিংশ শতকের শেষ দিকেও রাস্তার মোড়ে এবং পোস্ট অফিসের সামনে দেখা মেলতো ডাকবাক্স। ঈদ-পূজো উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন, দূরের বন্ধু-বান্ধবের চিঠি পড়ত ডাকবাক্সে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ বলা চলে, ডাকবাক্স বিলুপ্ত। ইন্টারনেট প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে পরম্পরার এ ঐতিহ্য। এখন ঈদ-পূজোর শুভেচ্ছা আসে ডাকবাক্সের পরিবর্তে ফেসবুকের ইনবক্সে।
‘ডাকপিয়নের ডাকের চিৎকারে যেন ঘুম আমার ভাঙলো, ঐ বুঝি তোমার চিঠি এলো।’ এই অমর সংগীত এখন আর মানুষের মাঝে নাড়া দেয় না। সময়ের পরিক্রমায় এ গানটিও হারাতে বসেছে। অথচ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়- যখন প্রিয়জনের একটি চিঠির জন্য কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডাকপিয়নের অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে থাকতেন স্বজনরা।
তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়নে যোগাযোগের বিশ্ব সমাদৃত ডাক ও ডাকপিয়ন আজ বিলুপ্তির পথে। যাদের আত্মীয়-স্বজন প্রতিক্ষায় বসে থাকতেন, তাদের কাছে ডাকপিয়নের কদরের কথা তো বলাই বাহুল্য। প্রাপকের হাতে বিদেশি কোন চিঠি তুলে দিতে পারলেই পিয়নকে সম্মানী দিয়ে খুশি করতেন।
ময়মনসিংহের একজন শিক্ষক স্বপন দে ঢাকাটাইমসকে জানান, যোগাযোগের (সংবাদ আদান-প্রদান) অন্যতম মাধ্যম ছিল পোস্ট অফিস বা ডাকঘর। আর ডাকঘরের অন্যতম উপাদান ছিল ডাকবাক্স। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নে ডাকঘরের ব্যবহার অনেকাংশেই কমে গেছে। বিশেষ করে পত্র ও সংবাদ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে। ফলে ডাকঘরের সামনে ঝুলানো ডাকবাক্সের ব্যবহার বর্তমানে শূন্যের কোঠায়। তার ধারণা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ডাকবাক্স চিনবেই না।