ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, আজ  ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক দুই দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৮৫ পয়েন্টে।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

ডিএসইতে আজ দুইশ’ ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে দুইশ’ ৩২টির, কমেছে ৪০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ  এই স্টক এক্সচেঞ্জে চারশ’ ১২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ৯৭ কোটি টাকা বেশি। গতকাল ৩১৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে ছিল ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ইউসিবিএল। আজ  এই প্রতিষ্ঠানের ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়া জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, পদ্মা অয়েল, এনভয় টেক্সটাইল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, স্কয়ার ফার্মা, তিতাস গ্যাস, মালেক স্পিনিং, আরগন ডেনিমস ও গ্রামীণফোন প্রভৃতি লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক তিনশ’ ১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২ হাজার ছয়শ’ ২৪ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ দুইশ’ ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে একশ’ ৭২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৮টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সিএসইতে আজ ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে সাত কোটি টাকা বেশি। গতকাল ২৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরও গত মাসে দেশের শেয়ারবাজারে বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে। বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া হরতালে বাজার ভালো রাখতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় থাকায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

অন্যদিকে আজ ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও বস্ত্র খাতসহ প্রায় সবগুলো খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, যা সূচক বাড়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

(ঢাকাটাইমস/৪ নভেম্বর/এজে/.ঘ)