ইসলামে কর্তব্যবোধের গুরুত্ব
ইসলাম ডেস্ক
২৭ এপ্রিল, ২০১৫ ২০:৪২:১৪

ঢাকা: মানুষের জীবন ধারণের জন্য যা কল্যাণকর, যা পরিপালনে সবার জীবনযাপনের পথ হয় সুগম তা পালন করার নাম কর্তব্য। যার জ্ঞান যত বেশি, তার কর্তব্যবোধও ততই তীক্ষ্ম। আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হওয়ার কারণে মানুষও পরের কল্যাণ সাধনায় ব্রতী হয়। এটা মানবিক উৎকর্ষের কারণেই মানুষের মধ্যে জন্ম নেয়। প্রতিটি মানুষের মধ্যে এই বোধ জাগ্রত করার তাগিদ দিয়েছে ইসলাম। কোরানে বলা হয়েছে, ‘তোমরা সৎ কাজের আদেশ কর আর অসৎ কাজ থেকে লোকদের বিরত রাখ।’ একজন মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকের উচিত কোরানের এই নির্দেশনা পালন করা। মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়িত্বগুলো পালন করবে এটা তার কর্তব্য। যিনি তার কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত, তিনিই কর্তব্যপরায়ণ।
যে জাতির কর্তব্যবোধ যত প্রবল, সে জাতি তত উন্নত। যে জাতি যত কর্তব্যপরায়ণ, সে জাতির তত বেশি শক্তি। সমাজের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ স্তর অনুযায়ী তার দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। নিজের প্রতি, সমাজের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি সর্বোপরি মহান স্রষ্টার প্রতি যে কর্তব্য রয়েছে তা যথাযথভাবে পালন না করলে বিশৃঙ্খলা প্রকট রূপ নেয়। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করাই সুস্থ বিবেকের দাবি। আমরা যদি প্রত্যেকেই যে যার কর্তব্যকর্মে স্থিরচিত্ত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই, তাহলে এ দুনিয়া থেকে অনেক অশান্তি দূর হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই নিজ নিজ কর্তব্য পালনে অবহেলা করি। জাতি হিসেবে আমরা যতদূর এগিয়ে যাওয়ার কথা ততটুকু যেতে না পারার জন্য একমাত্র দায়ী কর্তব্যবোধের অভাব। একজনের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে অনেক সময় সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। সেই বোধ না থাকার কারণে আমরা এগোতে পারছি না।
কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তি নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও পরের কল্যাণের জন্য কর্তব্যবোধে উজ্জীবিত হয়। যুদ্ধের ময়দানে যেমন প্রতিটি সৈনিক তার দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে সচেতন থাকে, তেমনি ইসলামের শিক্ষা হলো প্রত্যেক মুমিনকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকলেই ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় কর্তব্য যথাযথভাবে পালনে সক্ষম হবে। অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে একদিন তাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। সেদিন মহান স্রষ্টা প্রতিটি মুহূর্তের হিসাব নেবেন। এ জন্য চূড়ান্ত হিসাবের আগেই সবার দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা উচিত।
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/জেবি)