logo ১৫ মে ২০২৫
শবে মেরাজে করণীয়-বর্জনীয়
ইসলাম ডেস্ক
১৬ মে, ২০১৫ ১৮:০৪:১৬
image

ঢাকা: বছরের ফজিলতপূর্ণ রাতগুলোর অন্যতম লাইলাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজ। মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন, ঊর্ধ্বে আরোহণ, আরোহণের সিঁড়ি। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সা. তাঁর এক মহাকাশ ভ্রমণ সম্পর্কে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন এজন্য তাঁর এই ভ্রমণকে মেরাজ বলা হয়। নবুয়তের একাদশ ও দ্বাদশ বছরের মধ্যবর্তী সময়ে, হিজরতের প্রায় বছর দেড়েক আগে, রজব মাসে রাসুল সা.-এর মেরাজ সংঘটিত হয়। মহানবীর জীবনে সংঘটিত আশ্চর্য বিষয়াবলির মধ্যে মেরাজ অন্যতম। মহান আল্লাহ তাঁর বন্ধুকে মক্কার মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসা এবং তথা হতে ঊর্ধ্ব জগত পর্যন্ত স্বশরীরে, আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনাদি দেখানোর জন্য ভ্রমণ করিয়েছিলেন।

একজন মুমিনকে যে সব অদৃশ্য সত্যের প্রতি ঈমান আনতে হয়, মিরাজে নিয়ে হজরত মুহাম্মদ সা.কে তা স্বচক্ষে দেখানো হয়েছে।  ঠিক কোন মাস বা তারিখে মিরাজ সংঘটিত হয়েছিল তা চূড়ান্ত নয়। তবে ২৭ তারিখের যে মতটি আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে সেটি তাবেঈ ও পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণের অনেকগুলো মতের থেকে একটি প্রসিদ্ধ মত। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ফরকানী (রহ.) বলেন, মেরাজের ঘটনাটি ৪৫ জন সাহাবায়ে কেরাম হতে নকল করা হয়েছে।

রজব মাসে আইয়ামে বীজের রোজা ছাড়া অন্য কোনো রোজার কথা নবী করীম (স.) বলেননি। পাশাপাশি লাইলাতুল মেরাজে তাহাজ্জুদ নামাজ ছাড়া আর কোনো নফল নামাজের কথাও বলেননি। হাদীস শরিফে শবে বরাত ও শবে মেরাজের নামাজ বলে কোনো নামাজের কথা আসেনি। তবে মেরাজের রাতে যেকোনো ইবাদত করলে এর সওয়াব পাওয়া যাবে যেকোনো রাতের চেয়ে বেশি। এজন্য মেরাজের রাতে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা উচিত। আর নফল ইবাদত মানে শুধুই নামাজ নয়, কোরআন তেলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির, দান-সদকাও নফল ইবাদতের মধ্যে পড়ে।


শবে মেরাজকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের উৎসব-আনুষ্ঠানিকতা শরিয়ত সমর্থন করে না। এই রাতে আলোকোজ্জ্বল করাও ঠিক নয়। এছাড়া এই রাতে শিরনি বিতরণ, খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ আয়োজন করা শরিয়ত সমর্থিত নয়। অনেকে শবে মেরাজে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ইবাদত করেন কিন্তু ফজরের নামাজ পড়তে পারেন না অথবা জামাতে আদায় করতে পারেন না-এটা উচিত নয়। রাত জেগে ইবাদত করলে ফজরের নামাজও জামাতে আদায় করতে হবে। সারা রাত ইবাদত করে ফজরের নামাজ ছেড়ে দিলে সেই ইবাদতের কোনোই মূল্য নেই।


(ঢাকাটাইমস/১৬মে/জেবি)