ঢাকা: হজে যেতে ইচ্ছুক ৭৮৫ জনের বাড়ি ভাড়াই ঠিক হয়নি এখনো।ফলে অন্য বছরের মতো এবারও এ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এই বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীর বিষয়টি অমিমাংসীত রেখেই হজ ফ্লাইট শুর হবে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে। অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার জন্য ১২ হজ এজেন্সিকে চিঠিও দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এ বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।হজ ফ্লাইট আগামী ১৬ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৮ অক্টোবর।
সৌদি আরবের জেদ্দার হজ অফিস থেকে পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৬ জুলাই আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক ও হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়।
কাউন্সিলর (হজ) মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৭৮৭টি এজেন্সির মধ্যে ১২টির প্রতিনিধি এখনো সৌদি আরবে আসেননি। এ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজযাত্রীদের হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
যে হজ এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা এখনো সৌদি আরবে গিয়ে বাড়ি ভাড়া করেননি তাদের মধ্যে রয়েছে, উইনস ট্রাভেলস এ্যান্ড ট্যুরস (হজযাত্রীর সংখ্যা ৫০ জন), এসিউরেন্স এয়ার সার্ভিস (৭০ জন), উইংস ট্রাভেলস এ্যান্ড ট্যুরস (৫০ জন), কসমিক এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (৭৭ জন), ওয়ার্ল্ড লিঙ্ক ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস (৬০ জন), গ্রিন এভিয়েশন (৭৬ জন), হাতিম ট্রাভেলস এ্যান্ড ট্যুরস (৫০ জন), মনির ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস (৬৩ জন), মোবাশ্বিরাহ ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরস (৫৬ জন), সুজন ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরস (৫০ জন), সৌদি-বাংলা এয়ার সার্ভিস লিমিটেড (৫০ জন) ও মোসাফির ট্রাভেলস (৬৯ জন)।
এবার বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। এরমধ্যে ৫ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায়, বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।
তবে এবার হজে যেতে আবেদনকারীর সংখ্যা কোটা অতিক্রম করেছে। অতিরিক্ত ২৫ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধি করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ ইতোমধ্যে নাকচ করে দিয়েছে সৌদি সরকার।
(ঢাকাটাইমস/ ২১ জুলাই /এইচআর/এআর/ ঘ.)