logo ১৫ মে ২০২৫
মাগফেরাত লাভের দশক
জহির উদ্দিন বাবর, ঢাকাটাইমস
১৭ জুন, ২০১৬ ১৫:১৯:৫৩
image



ঢাকা: পবিত্র রমজানুল মোবারকের মাগফেরাতের দশক অতিক্রম করছি আমরা। এ দশকেই মুমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত মাগফেরাত বা মাফ করে দেয়া হয়। রমজানে বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এটা এমন একটি মাস যার প্রথম ১০ দিন রহমতের ঝরনাধারায় পরিপূর্ণ, দ্বিতীয় ১০ দিন ক্ষমা ও মাফের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং শেষ ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভের উপায়রূপে নির্ধারিত। আর যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের অধীনস্থ লোকদের পরিশ্রম ও মেহনত কমিয়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।’






রমজানের প্রতি রাতে ও দিনে অগণিত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং মুমিনের দোয়া কবুল হয়। এ মাসে পারলৌকিক মুক্তি অর্জনের বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মাহে রমজানের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন, হে পুণ্য অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাচারী! থাম, চোখ খোল। তিনি আবার ঘোষণা করেন, ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।’






যাবতীয় পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অপরাধমূলক চিন্তাভাবনা ও অসৎ কাজকর্ম থেকে বিরত থেকে রমজান মাসে রোজাদার যখন রোজা রেখে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে সৎপথে পরিচালিত হন, তখন মাসের ১০ দিন অতিবাহিত হলে তিনি আল্লাহর রহমত তথা দয়া, করুণা ও অনুগ্রহ লাভে ধন্য হন। এরপর যখন এমনিভাবে রমজান মাসের আরও ১০ দিন অতিবাহিত করেন, তখন আল্লাহ তায়ালা তার পাপগুলো ক্ষমা করে দেন। এরপরও যখন তিনি মাহে রমজানের শেষ ১০টি দিন এভাবে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন, তখন রোজাদার জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তির গ্যারান্টি লাভে ধন্য হন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যারা রমজানের চাঁদের প্রথম তারিখ থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রোজা রেখেছে, তারা সেদিনের মতোই নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যেদিন তাদের মাতা তাদের নিষ্পাপরূপে জন্ম দিয়েছেন।’






বান্দাকে ক্ষমা করে দেবার জন্য আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন উপলক্ষ খুঁজেন। রমজান সে ধরনের একট বড় উপলক্ষ। এ মাস উপলক্ষে অগণিত পাপী-তাপী বান্দাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আর আল্লাহর ক্ষমার সেই ভান্ডারটি পুরোপুরি খুলে দেন রমজানের মধ্য দশক বা মাগফেরাত পর্বে। ১১ রমজান থেকে ২০ রমজান পর্যন্ত সময়ে কেউ খাঁটি মনে তওবা করে আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত প্রার্থনা করলে অবশ্যই তাকে মাফ করে দেয়া হবে। ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে রোজা রাখলে আল্লাহ নিষ্কলুষ করে দেবেন-এমন ঘোষণা তিনি দিয়েছেন।






(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/জেবি)