logo ১৯ এপ্রিল ২০২৫
২,৩৬৭ গেরিলার স্বীকৃতি, রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৬:০৫:৩০
image



একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া দুই হাজার ৩৬৭ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সম্বলিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।






রবিবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করা হয়। আবেদনের বিষয়টি অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবেদন করা হয়েছে। আগামী রবিবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।    






বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ গত ৮ সেপ্টেম্বর এবিষয়ে একটি রুলের নিষ্পত্তি করে দুই হাজার ৩৬৭ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার সনদ প্রদান বিষয়ে গেজেট বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।






রায় ঘোষণার পর রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গেরিলা বাহিনীর ২৩৬৭ জনের তালিকা সম্বলিত প্রকাশিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপনকে আদালত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।






মামলা সূত্র জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেরিলা বাহিনীর সদস্য কমরেড মণি সিংহ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, পঙ্কজ ভট্টাচার্যসহ দুই হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ওই প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে সরকার। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একটি রিট আবেদন করেছিলেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টচার্য। পরের বছর ১৯ জানুয়ারি ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে  বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই সঙ্গে দেয়া রুলে ওই প্রজ্ঞাপনটি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষরকারী উপসচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকের কাছে জানতে চাওয়া হয়।






১৯৭১ সালে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ নেয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্রও সমর্পণ করেছিলেন এই গেরিলারা। আবেদনকারী পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার এবং স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারসহ প্রতিটি সরকার এই বিশেষ গেরিলা বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।






(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এমএবি/জেবি)