logo ০৬ মে ২০২৫
বাংলালিংকের পৃষ্ঠপোষকতায় মেঘনা নদীতে নৌকা বাইচ
টেলিকম প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
০৬ অক্টোবর, ২০১৩ ১২:৫৫:৫৫
image


ঢাকা: ভৈরবের মেঘনা নদী তীরবর্তী  ভৈরব বাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুতে ৪র্থ ভৈরব নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০১৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঙালির জাতিসত্বার অন্যতম পরিচয়বাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বাংলালিংকের ধারাবাহিক পৃষ্ঠপোষকতার অংশ হিসেবেই ৪র্থ ভৈরব নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বাংলালিংক।   





ঐতিহ্যবাহী নৌকা চালনা প্রতিযোগিতা এদেশে নৌকা বাইচ হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। এই প্রতিযোগিতা আমাদের শত শত বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। বাংলালিংক বাংলাদেশ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। দেশের তৃণমুল পর্যায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও সমুন্নত রাখার লক্ষ্যেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আমাদের অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়াযজ্ঞ, যা সাধারণ মানুষকে বিপুলভাবে আনন্দিত ও দেশাত্বকবোধে উদ্বুদ্ধ করে।  



চলতি বছর এই প্রতিযোগিতাটি বাংলালিংক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০১৩ এর চতুর্থ আয়োজন। এই ধারাবাহিক আয়োজন পুরো বাংলাদেশ জুড়ে ব্যাপক সাড়া তুলেছে। ‘গাং সমিতি ভৈরব’ এই প্রতিযোগিতার গর্বিত আয়োজক এবং বাংলালিংক পরপর চতুর্থবারের মতো আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষক।



সমাজের নানা পর্যায়ের হাজার হাজার মানুষ এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে সমবেত হন। প্রতিযোগিতা শেষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার  বিতরণ করেন।



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের  সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ হিমায়েত হোসেন, পিপিএম, অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ, সিদ্দিকুর রাহমান, জেলা প্রশাসক, কিশোরগঞ্জ, আসিফুজামান খান, রিজিওনাল কমার্শিয়াল হেড, বাংলালিংক এবং খন্দকার আশিক ইকবাল, পি আর এন্ড কমিউনিকেশন সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার, মার্কেটিং, বাংলালিংক।



বাংলালিংকের রিজিওনাল কমার্শিয়াল হেড জনাব আসিফুজামান খান বলেন, ‘নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা এদেশের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রতিযোগিতায় বাংলালিংকের ধারাবাহিক পৃষ্ঠপোষকতা দেশজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি বাংলালিংকের সুদৃঢ় অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। তৃণমুল পর্যায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নিরবিচ্ছন্ন পৃষ্ঠপোষকতার মধ্য দিয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি জাতির মনন ও নিজস্বতা তৈরিতে অবদান রাখার প্রয়াসের অংশ হিসেবেই বাংলালিংক এই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’



(ঢাকাটাইমস/৬ অক্টোবর/টেলিকম/এজেড/১২.৫৩ঘ.)