লেনদেন শেষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে সূচকও। একই সঙ্গে লেনদেনেও বাড়তি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিট পর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ডিএসই’র সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ২৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শুরু হয়। ১০টা ৪০ মিনিটে সূচক ১৯ পয়েন্ট, ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক ২৫ পয়েন্ট, ১০টা ৫০ মিনিটে সূচক ২৩ পয়েন্ট, ১০টা ৫৫ মিনিটে সূচক ২৪ পয়েন্ট, বেলা ১১টায় ডিএসইএক্স সূচক ৩০ পয়েন্ট, দুপুর ১২টায় সূচক ৪৪ পয়েন্ট ও দুপুর ১টায় সূচক ৩০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।

লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ২৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে চার হাজার দুইশ’ ৪১ পয়েন্টে। লেনদেন শেষে ডিএসই-৩০ সূচক মাত্র তিন পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করে এক হাজার চারশ’ ৪৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সাধারণ সূচক বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে পাঁচশ’ ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে একশ’ ৪২টির, কমেছে একশ’ ২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দাম।

লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসই’র শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো-জেনারেশন নেক্সট, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, আরএন স্পিনিং, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার, তাল্লু স্পিনিং, ওয়ান ব্যাংক ও ইউনাইটেড এয়ার।

ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে পাঁচশ’ ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল চারশ’ ৭১ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে সিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক একশ’ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩ হাজার একশ’ ৭১ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ  দুইশ’ ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে একশ’ ৮টিরই দাম বেড়েছে। কমেছে ৯১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

সিএসইতে আজ লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে এক কোটি টাকা বেশি। গতকাল এই বাজারে ৫১ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

হরতাল শেষে আজ  ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি ছিল বলে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস সূত্রে জানা গেছে। হরতাল না থাকায় আজ  অনেক বিনিয়োগকারী হাউসে এসে লেনদেন সারেন। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ায় বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/এএসএ/এজে)