ঢাকা: টানা দুই দিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারের এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। টাকার পরিমাণে লেনদেনও আগের কার্যদিবস থেকে কমেছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। দিন শেষে নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে আজকের লেনদেন।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে চার হাজার দুইশ’ ৯৪ দশমিক ২২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে মোট দুইশ’ ৮৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে একশ’ ৪৫টি, কমেছে একশ’ ১৫টি আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের। টাকার পরিমাণে মোট লেনদেন হয়েছে চারশ’ ৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার এবং হাতবদল হয়েছে১০ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৪৪০টি শেয়ার।

সিএসই সূচক ২৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে আট হাজার চারশ’ ১৮ দশমিক ১৮ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট দুইশ’ ১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টি, কমেছে একশ’ ১৫টি আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের। টাকার পরিমাণে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং হাত বদল হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার তিনশ’ ৭৭টি শেয়ার।

গত মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স বেড়েছিল একশ’ ১২ পয়েন্ট। এদিন মোট লেনদেন হয় ৫৪১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।

ডিএসইতে লেনদেনের ৩০ মিনিটে ব্রড ইনডেক্স ২৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে চার হাজার তিনশ’ ৪০ পয়েন্টে। এসময় মোট দুইশ’ একটি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে একশ’ ৭৩টি, কমে ১৪টি আর অপরিবর্তিত থাকে চারটি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় ৬৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

সিএসই’র সূচক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে আট হাজার চারশ’ ৮৫ পয়েন্টে। এসময় মোট একশ’ একটি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৭৪টির, কমে ১৭টির আর অপরিবর্তিত থাকে ১০টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় সাত কোটি ১০ লাখ টাকার।

ডিএসইতে লেনদেনের ৬০ মিনিটে ব্রড ইনডেক্স ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে চার হাজার দুইশ’ ৯৭ পয়েন্টে। এসময় মোট দুইশ’ ৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে একশ’ ১৫টি, কমে একশ’ তিনটি আর অপরিবর্তিত থাকে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় একশ’ ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার।

সিএসই’র সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে আট হাজার চারশ’ ২১ পয়েন্টে। এসময় মোট একশ’ ৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৫৬টির, কমে ৬৭টির আর অপরিবর্তিত থাকে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকার।

ডিএসইতে লেনদেনের ৯০ মিনিটে ব্রড ইনডেক্স ছয় পয়েন্ট কমে অবস্থান করে চার হাজার তিনশ’ চার পয়েন্টে। এসময় মোট দুইশ’ ৫৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে একশ’ ১৮টি, কমে একশ’ একটি আর অপরিবর্তিত থাকে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় একশ’ ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকার।

সিএসইতে সূচক সাত পয়েন্ট কমে অবস্থান করে আট হাজার চারশ’ ৩৭ পয়েন্টে। এসময় মোট একশ’ ৬৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৭৫টির, কমে ৭৩টির আর অপরিবর্তিত থাকে ২১টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।

লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স নয় পয়েন্ট কমে অবস্থান করে চার হাজার তিনশ’ এক পয়েন্টে। এসময় মোট দুইশ’ ৬৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে একশ’ ১৮টি, কমে একশ’ ১৫টি আর অপরিবর্তিত থাকে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় দুইশ’ ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

সিএসই’র সূচক ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে আট হাজার চারশ’ ২৪ পয়েন্টে। এসময় মোট একশ’ ৮১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৭০টির, কমে ৯১টির আর অপরিবর্তিত থাকে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় ২৮ কোটি ২০ লাখ টাকার।

ডিএসই’র দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হল-রংপুর ফাউন্ড্রি, রহিমা ফুড, লিগেসি ফুট, আনেয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ, মিথুন নিটিং, বিডি অটোকারস, বঙ্গজ লিঃ, আম্বি ফার্মা ও এএমসিএল (প্রাণ)।

ডিএসই’র দাম কমার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হল-নদার্ন জুট, বেঙ্গল উইন্সডোর, বিডি বিল্ডিং, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুঃ, এনসিসি ব্যাংক, ফনিক্স ফাইন্যান্স, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রাইম ১ আইসিবিএ ও গোল্ডেন হারভেস্ট।

(ঢাকাটাইমস/৪ ডিসেম্বর/টিএ/এজে)