logo ২৬ আগস্ট ২০২৫
ফের সক্রিয় সেই গোষ্ঠী, ১৫ দিনেই শেয়ারের দর দ্বিগুণ!
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১১:৪১:৪৯
image


ঢাকা: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

রবিবার মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল দুর্বল দশটি কোম্পানি। এর মধ্যে প্রথম পাঁচটি হচ্ছে রহিমা ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিচ হ্যাচারি, ফাইন ফুডস ও কাশেম ড্রাইসেল।

এসব কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম এক দিনেই প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। অনেকে বলছেন, কৃত্রিমভাবে এসব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি করে এক শ্রেণীর লোক লাভবান হলেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেষ পর্যন্ত লোকসানের মুখে পড়বে।

এ প্রসঙ্গে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কোম্পানির মূলধন কম হওয়ায় এগুলোকে মেনিপুলেট করা সহজ। স্বল্প মূলধনী এসব কোম্পানি শেয়ারের দর অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে একটি গোষ্ঠী মুনাফা তুলে নিতে চাইছে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো সাধারণ বিনিয়োগকারীর উচিত এ ধরনের প্রবণতা থেকে নিজের বিনিয়োগকে সুরক্ষিত বা নিরাপদ রাখা।’

গত ২৪ নভেম্বর রহিমা ফুডের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল প্রায় ৩৯ টাকা। ১৫ কার্যদিবসের ব্যবধানে সেটি রবিবার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮৪ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১৫ দিনে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ৪৫ টাকা। অথচ কোম্পানিটির আর্থিক ভিত্তি খুবই দুর্বল।

একইভাবে ১৫ কার্যদিবসের ব্যবধানে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিচ হ্যাচারির প্রতিটি শেয়ারের দাম নয় টাকা, ফাইন ফুডসের সাত টাকা দাম বেড়েছে। আর মাত্র নয় কার্যদিবসে কাশেম ড্রাইসেলের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে আট টাকা। গত ১ ডিসেম্বর কাশেম ড্রাইসেলের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩৪ টাকা, রবিবার সেটি বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা।

দুর্বল মৌলভিত্তির এসব কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে এখন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।তারা বলছেন, এই প্রবণতা রোধ না হলে তা পুরো বাজারের জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ ডিসেম্বর/ওএফ/এআর/ ঘ.)