logo ১৬ মে ২০২৫
অনুপম ইসলামি আখলাক
ইসলাম ডেস্ক
২৫ মার্চ, ২০১৫ ০০:০৭:৫৬
image

ঢাকা: মানুষ সামাজিক জীব। পারস্পরিক যোগাযোগ ও আদান-প্রদান ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এই যোগাযোগ ও আদান-প্রদানটি সুষ্ঠু ও সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করাই হচ্ছে আখলাক বা চরিত্র। চরিত্র হলো মানুষের জীবনের ভালো-মন্দের কর্মফল। চারিত্রিক সৌন্দর্য দিয়ে মানুষ পৃথিবীর বুকে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আর এই চরিত্রের কারণেই মানুষ সবার কাছে হয় ঘৃণিত। যার চরিত্র ভালো, সবার সঙ্গে যিনি ভালো আচরণ করেন তিনি সমাজের সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা পান। মানুষ যুগ যুগ ধরে তার কথা স্মরণ করে। চরিত্রহীন লোক সবখানেই ঘৃণার পাত্র।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষের প্রতি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ দান উত্তম আখলাক।’ উত্তম আখলাকের মধ্যে রয়েছে তাওহিদ, রিসালাত ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখা; আল্লাহর নির্দেশাবলি যথাসময়ে যথাযথভাবে আদায় করা; মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার; ভালো কথা বলা; ভালো কাজে সহযোগিতা করা; গরিব-দুঃখী মানুষের সেবা;  কাজে-কর্মে মিল রাখা; বিবেক-বুদ্ধি যাকে ভালো বলে মনে করে তা পালন ও গ্রহণ করা। অন্যদিকে বদ আখলাকের মধ্যে রয়েছে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ না মানা; মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, ঠকানো; নিজের দুষ্কর্ম দ্বারা সমাজকে বিষিয়ে তোলা; অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত থাকা; অসততা ও দুর্নীতির পথ অবলম্বন করা ইত্যাদি। চরিত্র ভালো হলে দুনিয়ার জীবনও সুখের হয়, আখেরাতেও শান্তি পাওয়া যায়। হাদিসে আছে, ‘সত্যিকার মুমিন তারাই, যাদের চরিত্র সুন্দর।’


মুমিনের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত এর আদর্শ মাপকাঠি হচ্ছে রাসুল্লাহর (সা.) চারিত্রিক সৌন্দর্য। আল্লাহ তায়ালা নিজে রাসুলের চরিত্রকে ‘উত্তম চরিত্র’ হিসেবে সার্টিফিকে দিয়েছেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘(হে নবী) নিশ্চয় তুমি উত্তম চরিত্রে অধিষ্ঠিত।’ একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তথা জীবনের প্রতিটি ধাপে অনুসরণীয় হচ্ছে রাসুলের (সা.) আদর্শ। রাসুলের চরিত্র কেমন ছিল-এই প্রশ্নের জবাবে তার সহধর্মিনী হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, তোমরা কি কোরআন পড়নি? অর্থাৎ কোরআনের বাস্তব চিত্র ছিল রাসুলের (সা.) চরিত্র। যারা রাসুলকে (সা.) ভালোবেসে, তার দেখানো পথে চলবে, তার মতো চরিত্র গঠন করবে তাদের দুনিয়া ও আখেরাত উজ্জ্বল হবে। যুগে যুগে যারা পৃথিবী জয় করেছেন, যারা আল্লাহর প্রিয় হয়েছেন তাদের সবাই চারিত্রিক মাধুর্য দ্বারাই তা করেছেন। এজন্য সবার উচিত চরিত্র গঠনে মনোযোগী হওয়া। চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনে সর্বাত্মক চেষ্টা করা।


(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/জেবি)