logo ১৬ মে ২০২৫
নামাজে খুলে রিজিকের দুয়ার
ইসলাম ডেস্ক
২৩ মার্চ, ২০১৫ ২১:২৫:২১
image

ঢাকা: জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটে বেড়ায় দিকদিগন্তে। রিজিকের চিন্তায় তার বিবেক-বুদ্ধি সদা থাকে ব্যস্ত। অর্থনৈতিক উত্থান-পতনে দিশেহারা হয় মানুষ। অথচ এই রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতেই গ্রহণ করেছেন। করেছেন মানুষ চাওয়ার আগেই তার সব চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা। শস্য, ফলমূল আর বৃক্ষলতা তারই করুণার সাক্ষী। আকাশ থেকে রহমতের বৃষ্টির অঝর ধারায় তিনিই সিক্ত করেন সৃষ্টিকুলকে। বৃক্ষরাজির অক্সিজেন দিয়ে পরিবেশকে পরিশুদ্ধ করেন; রাখেন বসবাসের উপযোগী করে। পবিত্র কোরআনুল কারিমে সূরা হুদের ৬নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘আর পৃথিবীতে কোনো বিচরণশীল নেই, যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নেননি।’ সূরা রুমের ৪০নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিজিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন।’


মানবশিশুকে মায়ের গর্ভের সুরক্ষিত স্থানে পৃথিবীর কেউ কি রিজিক দেয়? না। সেখানে কোনো আবেদন ছাড়াই মহান আল্লাহ তায়ালা মানবশিশুর জীবিকার ব্যবস্থা করেছেন। নবজাতকের জন্মের পর মায়ের দুধের মাধ্যমে তার খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। মানুষ ধান গাছ রোপণ করতে পারে; কিন্তু ধান গাছে ধান হয় না আল্লাহ তায়ালার হুকুম ছাড়া। 


আমরা যতই জীবিকার পেছনে ছুটছি জীবিকার পাগলা ঘোড়া যেন আমাদের থেকে ততই দূরে সরে যাচ্ছে। আয় বাড়লেও অভাব থেকেই যাচ্ছে। মৌলিক প্রয়োজনগুলোও মেটাতে পারছি না। এর পেছনে কারণ হলো, যিনি রিজিকের মালিক তার নির্দেশিত পন্থা ছেড়ে অন্য পন্থায় রিজিক অনুসন্ধান করা। কোরআনুল করিম ও হাদিস শরিফে জীবিকার অভাব মোচনে যেসব আমলের কথা বলা হয়েছে এর অন্যতম হলো নামাজ।


আজ আমরা কৃষিকাজ কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যে রিজিকের অনুসন্ধান করতে গিয়ে নামাজের আদেশ লঙ্ঘন করছি, অথচ এই নামাজেই রয়েছে আমাদের রিজিকের ফয়সালা। উল্লিখিত দুটি আয়াতেই রিজিক সমস্যার সমাধানে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কোটি মানুষ চেষ্টা করেও এক ফোঁটা পানি বানাতে পারবে না। বানাতে পারবে না একটি শস্যও। তাই রিজিকের একমাত্র মালিক আল্লাহ তায়ালার ওপরই ভরসা করতে হবে সব ধরনের রিজিকের জন্য। তার মহান দরবারেই ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আমাদের রিজিক প্রার্থনা করতে হবে। 


(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/জেবি)