মাদকাসক্তি জঘন্য পাপ
ইসলাম ডেস্ক
১৮ মার্চ, ২০১৫ ০০:০১:১২

ঢাকা: মানুষকে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের উত্তম জীবন-যাপন পদ্ধতিও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা গ্রহণ করতে বলেছেন; আর যা অকল্যাণকর তা থেকে কঠিনভাবে বারণ করেছেন। তবে কিছু কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মানুষ তাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্তি এ ধরনের একটি মারাত্মক বদভ্যাস। মানবজীবনে মাদকাসক্তির প্রভাব ভয়াবহ। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণেও মাদকাসক্তি অত্যন্ত জঘন্য পাপ। কেননা মাদকাসক্তি মানুষকে ফরজ ইবাদত থেকে বিরত রাখে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘শয়তান তো চায়, মাদকাসক্তির (মদ ও জুয়া) মাধ্যমে তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে বিরত রাখতে। সুতরাং তোমরা এখনও কি বিরত থাকবে না?’ মাদকাসক্তির ফলে মানুষের শারীরিক, মানসিক ক্ষতি হয়। পরস্পরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। মাদসক্তি সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। এর কারণে অপরাধ প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। সব বিচারেই মাদকাসক্তি ক্ষতিকর। সাময়িক আনন্দ-ফূতি ছাড়া এর কোনো উপকার নেই। মাদক থেকে হতাশার সৃষ্টি হয়। আর হতাশাগ্রস্ত লোকেরা দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ইসলামি বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন করলেই মাদসক্তি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। ইসলামে সব ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য হারাম করা হয়েছে। মাদকের কারণে মানুষ রহমতের ফেরেশতার আশ্রয় থেকে বঞ্চিত হয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তি জান্নাত লাভে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হবে। কেননা মাদকদব্য সেবনকারীদের জান্নাতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। রাসুল (সা.) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘মাদকাসক্ত ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না।’ অন্য হাদিসে মদকে সব কুকর্ম ও অশ্লীলতার মূল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
মাদক প্রতিরোধে সামাজিক চেষ্টা-সাধনার পাশাপাশি ইসলামি নির্দেশনা বেশ কার্যকর। মাদকসেবীদের মধ্যে আল্লাহর ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারলে সে মাদক থেকে বিরত থাকবেই। এ ক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলন এবং মসজিদের ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। মসজিদের মিম্বরগুলো থেকে মাদকবিরোধী স্লোগান উঠলে এবং মাদকের কুফল সম্পর্কে মসজিদে আলোচনা হলে মাদকসেবীর সংখ্যা অবশ্যই কমবে। ইসলামি জীবনবোধে যারা দীক্ষিত তাদেরও উচিত সমাজে ছড়িয়ে থাকা মাদকাসক্তদের ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচিয়ে রাখা। এটা একজন মুসলমানের সামাজিক দায়িত্বও বটে। এজন্য মানুষের মনে খোদাভীতি ও তাকওয়া ঢুকিয়ে দেয়ার কাজ করতে হবে সর্বাগ্রে। এর মাধ্যমে সমাজ থেকে দূর হবে সব আবর্জনা। সমাজ হবে সুষ্ঠু, শালীন ও বাঞ্ছিত।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/জেবি)