সালাম সম্পর্কের সেতুবন্ধ
ইসলাম ডেস্ক
০৩ এপ্রিল, ২০১৫ ২০:৪১:৪২

ঢাকা: এক মুসলমান আরেক মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে সালামের বিধান দেয়া হয়েছে। সালাম মানে পরস্পরকে সম্ভাষণ ও অভিবাদন করা। সালাম একটি দোয়াও বটে। সালামের মাধ্যমে পরস্পরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কথা বলার আগে সালাম দেয়া নবীজীর আদর্শ। আর এর উত্তর দেয়া অবশ্য করীণয়। আল্লাহ তায়ালা প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেয়ার নির্দেশ দেন। ফেরেশতারাও এর উত্তর দেন। তখন তাদের পরস্পর কথামালাই সালাম হিসেবে গণ্য হয়।
রাসুল (সা.) সালামের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। হাদিসে কারো সঙ্গে দেখা হলে কথাবার্তার আগে সালাম দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাদের সমাজে সালাম সৌজন্য বিনিময়ের একটি মাধ্যম। চলতে-ফিরতে, দেখা-সাক্ষাতে যেমন সালাম দিতে হয় তেমনি ফোনে বা মোবাইলে কথা বলার সময়ও সালাম দেয়া সুন্নত। সালাম একটি স্বতন্ত্র ইবাদত ও সওয়াবের উপায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সে ব্যক্তিই উত্তম যে আগে সালাম দেয়।’ আগে যিনি সালাম দেন তিনি অহঙ্কার থেকে মুক্ত বলে হাদিসে সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন দু'জন মুসলমানের মধ্যে পরস্পর সাক্ষাৎ হয়, সালাম মুসাফা করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’
সালামের উপকারিতা প্রচুর। সালামের দ্বারা পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। অহঙ্কার ও আত্মম্ভরিতা থেকেও বেঁচে থাকা যায়। সালাম হলো পরস্পরের সম্পর্ক উন্নয়নের সেতুবন্ধ। অন্যান্য ধর্মের অভিবাদনের চেয়ে ইসলামের সালামের শ্রেষ্ঠত্ব হলো এর প্রতিটি অক্ষরে দশটি করে সওয়াব দেয়া হয়। আর এই সওয়াব সালামদাতা ও জবাবদাতা উভয়েই পাবেন। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো শান্তি ও নিরাপত্তা। এই দুটি বিষয়ই সালামের মধ্যে রয়েছে। সালাম দিয়ে অন্য ভাইয়ের প্রতি এই বার্তা দেয়া হয় যে, আমি আপনার কল্যাণ কামনা করছি এবং আমার দিক থেকে আপনি নিরাপদ। উত্তরেও একই বার্তা দেয়া হয়। মুসলমানদের পরস্পরের মধ্যে এই বার্তার যত বেশি প্রচলন ঘটবে ততই সমাজ হবে শান্তি ও নিরাপদ। শুধু পরিচিতজনই নয়, অপরিচিতদেরও সালাম দিতে হবে। সর্বত্র সালামের প্রসার ঘটাতে পারলে সমাজে আসবে শান্তি, নিরাপত্তা; সৃষ্টি হবে ভালোবাসা ও সৌহার্দ।
(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/জেবি)