পরকালীন ভাবনায় বদলে যাবে জীবন
ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
২১ মে, ২০১৫ ০০:২৬:৫২

ঢাকা: মানুষ মরণশীল। প্রত্যেককেই কঠিন এই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো পরাক্রমশালী ব্যক্তিই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়নি। তাই জীবনের এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে পরকাল ভাবনা নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে।
ইসলামের শিক্ষা হলো, দুনিয়ার জীবন-জীবিকা সব ঠিক রাখার পরও সবসময় পরকালকে সামনে রাখতে হবে। প্রত্যেক প্রাণীকে একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করতে হবে। কারো ভেতরে পরকাল ভাবনা সক্রিয় থাকলে অনেক অন্যায়-অপকর্ম থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। এ জন্য পার্থিব জীবন সুন্দর করার জন্যও পরকাল ভাবনা জরুরি।
কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে পরকাল ভাবনা একটি ইবাদতও বটে। হাদিসে বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে পরকাল ভাবনা প্রবল থাকে তার অন্তর হয় কোমল ও মসৃণ। আল্লাহর ভয়ে তিনি সবসময় তটস্থ থাকেন। যে কোনো অন্যায় পথে পা বাড়াতে সাহস করেন না। আর যারা পরকালের প্রতি গাফেল ও বেপরোয়া তারাই কেবল যে কোনো অন্যায়-অপকর্ম করতে পিছপা হয় না।
রাসুল (সা.) এক সমাবেশে তার সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, কে সবচেয়ে বুদ্ধিমান? সাহাবিরা স্বভাবসুলভভাবে বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। ‘তখন রাসুল (সা.) বললেন, সেই ব্যক্তি প্রকৃত বুদ্ধিমান, যিনি মৃত্যুর জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে।
সাহাবিরা বললেন, হে রাসুল (সা.)! আমরা মৃত্যুর জন্য কীভাবে প্রস্তুত থাকব? রাসুল (সা.) বললেন, মৃত্যু যে খুব কাছে সে অনুযায়ী প্রস্তুত থাকবে।
আখেরাতের জীবনের তুলনায় হলো দুনিয়ার জীবন অতল সমুদ্রের এক ফোঁটা পানির মতো। সুতরাং সে জীবনের জন্য পাথেয় জোগানোর প্রয়োজন অনেক বেশি। সে জন্য ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন, তুমি দুনিয়াতে যতদিন অবস্থান করবে, সে হিসেবে এখানকার জন্য তৎপরতা চালাও। আর আখেরাতে তোমাকে যতকাল স্থায়ী হতে হবে, সে হিসেবে সেখানকার জন্য শ্রম ব্যয় কর।
আমরা পার্থিব জীবন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে পরকাল নিয়ে ভাবার সময় ও সুযোগ পাই না। প্রকৃত মুমিন সব সময় মৃত্যুকে স্মরণ রাখে এবং যে কোনো সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে ডাক এলে তাতে সাড়া দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। তারা পরকালের ভাবনাকেই পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এমআর)