logo ১৭ জুন ২০২৫
ইসলাম ও সামাজিক সুবিচার
ইসলাম ডেস্ক
২২ জুলাই, ২০১৫ ০০:২৪:০১
image

ঢাকা: যেকোনো সমাজের জন্য সুবিচার জরুরি। কোনো সমাজে সুবিচার না থাকলে এই সমাজের পরিণতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সুবিচার ইসলামি সমাজের তথা রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ। মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি হলো সুবিচার। কোনো সমাজে যদি অন্যায়-অবিচার; চুরি-ডাকাতি; হত্যা-রাহাজানি ইত্যাদি সমাজবিরোধী কার্যকলাপ প্রচলিত থাকে এবং অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে সে সমাজের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষিত হয় না। এজন্য ইসলাম সুবিচারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।


সমাজজীবনে সুবিচারের গুরুত্ব অপরিসীম। সুবিচারের মাধ্যমে বান্দার অন্তরে আল্লাহর ভয় বা তাকওয়া অর্জন হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা কর; এটি তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ যে সমাজে অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা থাকে না সে সমাজে অন্যায় সংক্রামক ব্যাধির মতো চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ অন্যায়কারীরা সুযোগ পেলে তাদের অপকর্ম আরো বাড়িয়ে দেয়। সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হলে কোনো লোকই অন্যায় করতে সাহস পায় না; ফলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সবাই নিজ নিজ অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারেন। রাসুর (সা.) ছিলেন ন্যায়বিচারের মূর্তপ্রতীক। তার কাছে আপন-পর; ধনী-গরিবের কোনো পার্থক্য ছিল না। ইসলামি রাষ্ট্রে আইনের চোখে সব নাগরিক সমান। প্রত্যেক ব্যক্তির মৌলিক অধিকার রয়েছে। কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করাকে ইসলাম সমর্থন করে না।


সমাজকে সুশৃঙ্খলিত করার কাজে যারা সময় ব্যয় করেন তারা আল্লাহর প্রিয়। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত সবখানেই সুবিচার সমানভাবে জরুরি। সুবিচার ও সুশাসনের অভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধরে পচন। ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে সবচেয়ে সংকট ছিল সুবিচার ও সুশাসনের। এজন্য আল্লাহ সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন সুবিচার ও ইহসান প্রতিষ্ঠা করার। সুবিচার ও সুশাসন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিচার বিভাগ; প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের মধ্যে। কারণ সমাজের প্রত্যেকের নির্ভরতা থাকে তাদের প্রতি। চালক শ্রেণীর মানুষেরা অবিচার ও দুর্নীতিকে আশ্রয় দিলে সমাজের ভয়াবহ পরিণতি ঘনিয়ে আসে।  সামাজিক বিশৃঙ্খলার জন্য প্রধানত দায়ী সুবিচার ও অসততা। অপরাধী পার পেয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা বা সম্ভাবনা পেলে অনেক বড় অপরাধও সংঘটিত করতেও কুণ্ঠিত হয় না। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়েই সমাজকে অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্রিয় হতে হবে কর্তা ব্যক্তিদের।


(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/জেবি)