logo ১৮ মে ২০২৫
বিশ্বনবীর (সা) দাদার মৃত্যু-বার্ষিকী আজ
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৪:৫৫:৫৮
image

ঢাকা: বিশ্বনবীর (সা) দাদার মৃত্যুবার্ষিকী আজ। হিজরতের ৪৫ বছর আগে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর দাদা আবদুল মুত্তালিব মক্কায় ইন্তিকাল করেন। এ সময় মহানবীর (সা) বয়স ছিলো মাত্র ৮ বছর। কুরাইশ গোত্রের ও এ গোত্রের হাশিমি শাখার প্রধান আবদুল মুত্তালিব ছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আ)’র পুত্র হযরত ইসমাইল (আ)’র বংশধর। মহানবীর দাদা ছিলেন একত্ববাদী এবং ইব্রাহিম (আ)’র ধর্মের অনুসারী। বাগ্মীতা ও মহৎ নানা গুণের জন্য খ্যাত আবদুল মুত্তালিব পবিত্র কাবা ঘরের দেখাশুনার ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন।

বিশ্বনবী (সা)’র বাবা আবদুল্লাহ এবং মা আমিনা বিনতে ওয়াহাবের মৃত্যুর পর নাতি মুহাম্মাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আবদুল মুত্তালিব। আবদুল মুত্তালিবের মৃত্যুর ৮ বছর আগে ইয়েমেনের ইথিওপীয় খ্রিস্টান গভর্নর আবরাহা পবিত্র কাবা ঘর ধ্বংসের জন্য মক্কার দিকে এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসে। আবরাহার সেনারা আবদুল মুত্তালিবের উট-বহর আটক করে এই আশায় যে তাতে তিনি কাবা ঘরের সুরক্ষার জন্য আবরাহার কাছে ধর্না দিবেন। কিন্তু আবদুল মুত্তালিব কেবল তার উটগুলো ফেরত দেয়ার দাবি জানান। বিস্মিত আবরাহা এর কারণ জানতে চাইলে আবদুল মুত্তালিব অত্যন্ত শান্তভাবে জানান যে, ‘কাবা ঘরের নিজস্ব মালিক রয়েছে, তিনি নিজেই এ ঘর রক্ষা করবেন। আমি কেবল এইসব উটের মালিক।’ উটগুলো ফেরত দিতে রাজি হয় আবরাহা। তবে এই হুমকিও দেয় যে মক্কা দখলের পর এর সবই তাদের দখলে চলে আসবে। এরপর আবদুল মুত্তালিব কাবা ঘরে ফিরে এসে কাবা ঘর রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। এই প্রার্থনার পরপরই মুখে কঙ্কর বা ছোট পাথরের টুকরো নিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আবির্ভূত হয় আবাবিল পাখি। এইসব পাথরের আঘাতে আবরাহার শক্তিশালী সেনাদল চর্বিত ঘাসের মতই পিষ্ট হয়ে যায়। (এ ঘটনা সম্পর্কে অবতীর্ণ হয় সুরা ফিল)     বিশ্বনবী (সা)’র জন্ম হয়েছিল এ বছরই। দাদা আবদুল্লাহ মারা যাওয়ার আগ মুহূর্তে আবু তালিবকে শিশু মুহাম্মাদের (সা) অভিভাবক হতে অনুরোধ করেন। সহোদর ভাই আবদুল্লাহর ইয়াতিম শিশু মুহাম্মাদকে (সা) নিজের ছেলের মতই যত্ন করতে হবে বলে তিনি আবু তালিবের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন। আবু তালিব সে দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করেছিলেন।     

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/জেডএ)