logo ০৯ জুন ২০২৫
আদর্শের শক্তি মুমিনের সম্পদ
ইসলাম ডেস্ক
১২ মার্চ, ২০১৬ ২০:১৯:২০
image



ঢাকা: শান্তি, সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা ইসলামের নিজস্ব সম্পদ। আত্মনিয়ন্ত্রণ বা যেকোনো অবস্থায় নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা ইসলামের অনুপম শিক্ষা। যে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় তার সঙ্গে জুড়ে থাক, যে তোমার সঙ্গে অসদাচরণ করে তার সঙ্গে সদাচরণ কর এটাই শিখিয়েছে ইসলাম। ইসলাম ধর্মের ধারক মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) তার বাস্তব জীবনে এ শিক্ষার প্রয়োগ ঘটিয়ে দেখিয়েছেন। তিনি নিজে ছিলেন ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার আধার। ব্যক্তিগত কারণে জীবনে তিনি কারো ওপর প্রতিশোধ নেননি, অভিশাপ দেননি।






প্রিয়নবীর (সা.) ব্যবহারে ছিল অপরিসীম কোমল ও স্নিগ্ধতা। ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার সৌন্দর্যে তার জীবন ছিল ভরপুর। এ সৌন্দর্য ও আদর্শের দ্বারাই তিনি ভুবন জয় করেছেন। নবীজির সহনশীলতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তার খাদেম হযরত আনাস (রা.) বলেন, আমি আমি দশ বছর ধরে আল্লাহর রাসুলের (সা.) খেদমত করেছি। এই সুদীর্ঘ সময়ে তিনি আমার কোনো আচরণে বিরক্ত হয়ে কখনও ‘উহ’ বলেননি এবং কখনও বলেননি যে, অমুক কাজটি কেন করলে? অমুক কাজটি কেন করলে না?






শুধু মুসলমান নয় অমুসলিমদের প্রতিও রাসুলুল্লাহর (সা.) ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার সৌন্দর্য ছিল সমানভাবে কার্যকর। ইসলামের ঘোর শত্রুরাও তার আচরণের এ সৌন্দর্যের কারণে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। তার সঙ্গে যারা জীবনভর শত্রুতা পোষণ করেছেন তাদের প্রতিও তিনি উদারতা দেখিয়েছেন। সুযোগ থাকলে তিনি শত্রুর সেবা করার কথাও বলেছেন। কথা ও কাজে মানুষকে সন্তুষ্ট করার প্রতি তিনি ব্যাপক উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইসলাম ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এর কোনো তুলনা হয় না।






ইসলামের কাছে আদর্শের শক্তিটাই বড় শক্তি। নিজেকে সংযত রাখা, বাড়াবাড়ি না করে ধৈর্য, ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার পথ অবলম্বন করা ইসলামের শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আজীবনের মিশন ছিল শান্তি-সৌহার্দ্যরে স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা। সে সমাজই তিনি মদিনায় কায়েম করেছিলেন। বহুজাতিক সেই সমাজে সবাই ছিল নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পরিপুষ্ট। ছিল না কারো কোনো অভিযোগ-অনুযোগ। তার আদর্শের পথ ধরে আজও শান্তি, সৌহার্দ্য ও সুষম সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব হলো সেই আদর্শ ধারণ করে জীবনযাপন করা।






(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/জেবি)