logo ১৬ মে ২০২৫
কর্মস্থলে ফাঁকি ইসলামে নিন্দনীয়
ইসলাম ডেস্ক
১৫ মে, ২০১৬ ১৭:৫০:৩৩
image



ঢাকা: মানুষের লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, আচার-আচরণসহ সব ক্ষেত্রে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে এবং তা মেনে চলা নামাজ-রোজার মতোই ফরজ। যেমন একজন ব্যবসায়ী অবশ্যই সঠিক পরিমাপ ছাড়াও কোনো ধোঁকা প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না, ভেজাল দেবেন না, ফরমালিন মেশাবেন না। তদ্রুপ একজন চাকরিজীবী কেবল সময়মতো অফিসই করবেন না, সেই সঙ্গে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং যে কাজ আধা-ঘণ্টায় সম্ভব সে কাজে কখনোই এক ঘণ্টা লাগাবেন না। আর তা করা হলে সেটা হবে প্রতারণা। আর ঘুষ নেয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। ঘুষ হলো জ্বলন্ত আগুন খাওয়ার শামিল। ঘুষদাতা ও গ্রহীতা জাহান্নামি।






অনেকেরই অফিস-আদালতে ফাঁকি দেয়া একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ইসলাম এভাবে অফিস ফাঁকি দেয়াকে আমানতের খেয়ানত (আত্মসাৎ) বলে অভিহিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমরা যখন কাউকে দায়িত্ব প্রদান করি, সে যদি এক টুকরো সুতা বা তার চেয়েও কোনো ক্ষুদ্র জিনিস খেয়ানত করে, তবে কিয়ামতের দিন খেয়ানতের বোঝা মাথায় করে সে উত্থিত হবে।’ ইসলামের কথা হলো, কর্তব্য কর্মে ফাঁকি দেয়া ব্যক্তি নিজেকে কখনো পূর্ণ মুসলমান বলে দাবি করতে পারে না। কারণ কর্মস্থলে বিলম্বে উপস্থিতি আর মসজিদে নামাজের জামাতে বিলম্ব দু’টিতেই গোনাহ রয়েছে। তবে গোনাহের পরিমাণ কোনটাতে বেশি সেটা বলা মুশকিল। কারণ মানুষকে পূর্ণাঙ্গভাবে আল্লাহর আনুগত্যের মাঝে নিয়ে আসার জন্য ফরজ করা হয়েছে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো আনুষ্ঠানিক ইবাদতগুলো। নামাজের জন্যও নামাজ নয়, আবার রোজার জন্যও রোজা নয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী হলো, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ এভাবে শুধু একবার-দু’বার নয়, নানা কর্মব্যস্ততার মাঝে বারবার মসজিদে এসে তাকে একই প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে হয়। গোপন ও প্রকাশ্য সব বিষয়ে আল্লাহ অবহিত এ বোধ উপলব্ধি সৃষ্টিকে তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় বলা হয়। আর যার মধ্যে আল্লাহর স্মরণ ও তাকওয়া আছে তার দ্বারা আল্লাহর নাফরমানি বা গোনাহের কাজ অসম্ভব। ফাঁকি দিয়ে উপার্জিত সম্পদ হারাম। আর হারাম খাদ্য গঠিত দেহ দ্বারা পালিত কোনো ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না।  






(ঢাকাটাইমস/১৫মে/জেবি)