logo ১৫ মে ২০২৫
শেষ দশকের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি
জহির উদ্দিন বাবর, ঢাকাটাইমস
২৮ জুন, ২০১৬ ১৭:৪২:২১
image



ঢাকা: রমজানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ দশক। এ দশকে এমন কিছু উপলক্ষ রয়েছে যেগুলো যথাযথ উদযাপন করতে পারলে মুমিনের সাফল্য সুনিশ্চিত। শেষ দশকের সূচনা হয় ইতেকাফ দ্বারা। রমজানের পুরোপুরি সওগাত লাভের জন্য ইতেকাফের কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র লাইলাতুল কদর এ দশকেরই যে কোনো বেজোড় রাতে। এ রাতের কারণেই পুরো রমজান তাৎপর্য ও ফজিলতপূর্ণ হয়েছে।






রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) রমজানের তৃতীয় দশকে এমন কঠোর পরিশ্রম করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না।’ হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক রমজানে দশ দিন ইতেকাফ করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেছেন সে বছর বিশ দিন ইতেকাফ করেছেন।’ মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে সারা বছরের তুলনায় অনেক বেশি ইবাদত করতেন, রাতভর নিজে ইবাদতের মধ্যে কাটাতেন এবং পরিবারবর্গকেও ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দিতেন।






রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে জাহান্নাম থেকে বেশি বেশি মুক্তি কামনা করার কথা বলেছেন। বস্তুত দোজখের আগুন একটি প্রলম্বিত ও অসহনীয় দহন যন্ত্রণার উৎস। কারো পক্ষে তা সহ্য করা সম্ভব হবে না। এজন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোজখের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি এ দশকে মুমিনের স্থায়ী আবাসস্থল জান্নাত প্রার্থনার প্রতিও বিশেষ তাগিদ করেছেন। শেষ দশকের পূর্ণ ফজিলত অর্জনের জন্য ইতেকাফ হচ্ছে উৎকৃষ্ট উপায়। আল্লাহর ঘরে সব সময় আল্লাহর ধ্যান ও খেয়ালে যেমন থাকা যায় তেমনি মহাপবিত্র লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভেরও প্রত্যাশা রয়েছে। ইতেকাফে বসলে দ্বীনি পরিবেশের কারণে এমনিতেই নিজের মধ্যে একটি পরিবর্তন আসে এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। সারা বছর যাদের একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করার সুযোগ হয় না তাদের উচিত ইতেকাফের মতো সুযোগ হাতছাড়া না করা।






মূলত শেষ দশকের সমাপ্তির সঙ্গেই রোজার পূর্ণতা নির্ভর করে। এ সময়ই নির্ণীত হয় কে কতটুকু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন রোজার কল্যাণ ও মঙ্গল। সফল ও দুর্ভাগা চিহ্নিত হয়ে যায় এ দশকে এসে। যারা রমজানের সওগাত পুরোপুরি হাসিল করতে চান তাদের শেষ দশকের ইবাদত ও উপলক্ষগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগী হতে হবে।






(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/জেবি)