ঢাকা : গতকালের ঘটনা। সবে রাত নেমেছে নগরীতে। গুলিস্তানে ঘরে ফেরা মানুষের ব্যস্ততা। এরি মধ্যে গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটির উদ্দেশ্যে বোরাক পরিবহন যাত্রা শুরু করলো। বাসের ভিতর তিল ধরারও ঠাঁই নেই। যানজট ঠেলে বাস হেলে দুলে এগোতে লাগল। বঙ্গভবন পার হয়ে বাসটি রাজধানী মার্কেটের সামনে সিগন্যালে আটকে গেল। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে বাসটি অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে রইলো।





কয়েকদিন ধরে নগরে ভ্যাপসা গরম। যাত্রীরা ঘেমে নেয়ে একাকার। হঠাৎ ভিতর কিছু একটা ভাঙ্গার শব্দ হল। মুহুর্তেই পঁচা দুর্গন্ধে বাসের ভিতরটা ভরে গেল। এতোক্ষণে যাত্রীরা বুঝে ফেললো কি ঘটেছে। বাইরে থেকে পথচারীদের কেউ একজন বাসের ভিতর পঁচা ডিম ছুড়েছে।



 



পঁচা ডিমের ভেতরে অংশ বাস যাত্রীদের গায়ে লেপটে একাকার। সেইসঙ্গে দুর্গন্ধে বাসের ভেতর টেকাই দায়। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে শুরু হল গাল গল্প। কেউ বলছেন, ‘দ্যাখো দেখি কান্ড! বাসের ভিতর পঁচা ডিম ছুঁড়ে কি লাভ হলো।’ কেউবা বলছেন,‘মাথা খারাপ না হলে কেউ বাসের ভিতর পঁচা ডিম ছোড়ো নাকি।’ যাত্রীদের একজন বলে উঠল, ‘অল্পের উপর দিয়ে গেছে। পঁচা ডিম না হয়ে  বোমা  হলে কি যে  হতো আল্লাহই জানে?’



 



বাস যতো সামনের দিকে এগোতে থাকে ততই সরস হয়ে ওঠে পঁচা ডিমকে ঘিরে গল্প। যাত্রীদের একজন বলে উঠল ‘এভাবে বাস-ট্রেনে ঢিল, পঁচা ডিম, পাথর ছুড়ে ওদের কি লাভ। এতে করে তো মানুষের প্রাণও যেতে পারে।’ এই কথার রেশ ধরে মধ্যবয়স্ক এক যাত্রী বললেন, ‘ আগস্টের ১১ তারিখ চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে ট্রেনে ঢিল ছোরার ফলে প্রাণ গেল এক তরুণী প্রকৌশলীর। বাস-ট্রেনে এমন ঘটনা রোজ রোজ ঘটছে।’ সবাই তার কথায় একমত হলো। বাসে পঁচা ডিম ছোড়া সেই পথচারীকে গালমন্দ করতে করতে যে যার গন্তব্যে নেমে পরল।