ঢাকা: ভাদ্রের তাল পাকানো ভ্যাপসা গরমে গুমোট ছিল প্রকৃতি।দিনভর সাদা মেঘের ওড়াউড়ি অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। একটু আধটু হাওয়া খেলে গেলেও সে হাওয়ায় দাপট ছিল না।
সময়টা শরৎকাল কিন্তু লু হাওয়ার মত উষ্ণতা। সবমিলিয়ে নাগরিক জীবনে নেমে এসেছিল পড়ন্ত দুপুরে ঝম ঝমিয়ে নামল বৃষ্টি ।বৃষ্টির সুরেলা ধ্বনি আর মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ শুনে মনে হয় এখনও বুঝি শেষ হয়নি বর্ষা।
আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, বঙ্গোপসাগরে মৃদু লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের উপর দিয়ে মৌসুমী বায়ু বয়ে যাচ্ছে।বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।বৃষ্টিও নামল। জনজীবনে নেমে এলো স্বস্তির পরশ।
নগরের ছায়া তরুরা এতোদিন ধূলি-ধূসরিত ছিল। ধূলো লেপ্টে ছিল গাছের পাতায়। আজকের বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে দিয়েছে সব ধুলিকণা।বৃষ্টির পরশে লকলকিয়ে উঠেছে সবুজ।
বহুদিনের কাঙ্খিত বৃষ্টি। তাইতো বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরতে অনেকে বৃষ্টিতে ভিজতে পথে নামে। সমস্ত শরীর নবধারা জলে সিক্ত করে।
আবহাওয়া অফিসের মতে, ভাদ্রে মাসে রোদ খানিকটা তেতে থাকে।তাই গরমের ছটাও বেশি। আজকের এই বৃষ্টি স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। যা কিনা আরো কিছুক্ষণ ঝরতে পারে।
এদিকে, বৃষ্টির কারণে নাগরিক জীবনের ছন্দ পতন ঘটেছে। ফুটপাতের ব্যবসায়ী, পথচারীরা বৃষ্টিকে উটকো বলেই মনে করছে।বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে কেউবা ভো দৌড়ে ছাউনীর দিকে পা বাড়ায়।
একটুখানি বৃষ্টিতে নগরের কোনো কোনো সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে। বৃষ্টির ধারা মিলিয়ে যেতে খুব বেশি একটা সময় লাগে না।নাগরিক ব্যস্ততায় মিলিয়ে যেতে নাগরিকরা পথে নামে।তাইতো বৃষ্টির স্মৃতি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলা।