ঢাকা: নিজের শরীর সুস্থ রাখার জন্যে প্রতিদিন ২০ টি করে কলা খান অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক লনি জেন আন্থনি(২৫)।অ্যান্থনি আবার ২৬ সপ্তাহের অন্ত:সত্ত্বা। এটিই হবে তার প্রথম সন্তান।আসলে অ্যান্থনি কি ঠিক কাজ করছেন?
কিছুদিন আগেও অ্যান্থনি অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করত ও অস্বাস্থ্যকর ফলমূল খেত।তাতে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় সে এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছে।সে এখন প্রতিদেন ২০ টি করে কলা খায়। সাথে আরো দু’এক প্রকার ফলমূল।এই তার চলে।
সম্প্রতি তিনি তার নিজ ব্লগে তার এই খাবার আইটেম নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন এবং তার স্বাস্থ্যের আপডেট ছবি পোস্ট করেছেন।
তার এই লেখা দেখে অনেকে তার প্রশংসা করেন। আবার অনেকে এমনও লিখেছেন, তার এই খাদ্যাভ্যাস তার সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
শুধূমাত্র ফলের ওপর নির্ভর করে একটি মানুষের জীবন চলতে পারে না। তাতে তার দ্রুত স্বাস্থহানি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, তার এই অতিরিক্ত কলা খাওয়া মাথাব্যথা,শরীর দূর্বল ও চিকন হয়ে যাওযাসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, কলা খাওয়া ভাল। তাতে শরীরে অনেক উপকার হয়। তাই বলে শুধু কলার ওপর নির্ভর করে জীবন চলতে পারে না।
কলা বিভিন্ন গুণাগুনে সমৃদ্ধ একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভাল উৎস।
এতে কঠিন খাদ্য উপাদান এবং সেই সাথে পানি জাতীয় উপাদান সমন্বয় যে কোন তাজা ফলের তুলনায় বেশি। একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। এই শর্করা পরিপাক তন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।শরীরের ক্লান্তি দূর করতে কলা বিশেষভাবে উপযোগী। কলা দুধের সাথে মিশে খাওয়া গেলে তা হতে প্রায় পুরোপুরি সুষম খাদ্য পাওয়া যায়।
এছাড়া কলা নিরাপদ হজমের জন্য পথ্য হিসাবে কাজ করে।কলা নরম হবার কারণে হজম শক্তির কাজে বাড়তি ঝামেলা দেখা দেয় না।দীর্ঘকাল স্থায়ী আলসার রোগের ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা ছাড়াই কলা খাওয়া যায়।
কলা ও দুধের মিশ্রণ শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট চিকিৎসার ক্ষেত্রে ১০-১৫ দিন প্রতিদিন ৬টি কলা এবং চার গ্লাস দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
(ঢাকাটাইমস/১৩ নভেম্বর/এসইউএল/জেডএ)