আশুরার সিয়াম
ইসলাম ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
১৫ নভেম্বর, ২০১৩ ১৫:২০:৪২

ঢাকা: ফেরাঊনের সাগরডুবি ও মূসা (আঃ)-র মুক্তি লাভের এ অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছিল ১০ই মুহাররম আশুরার দিন। এ দিনের স্মরণে আল্লাহর শুকরিয়া স্বরূপ মূসা (আঃ) ও বনু ইস্রাঈলগণ প্রতি বছর এ দিন একটি নফল সিয়াম পালন করেন। এই সিয়াম যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। জাহেলী আরবেও এ সিয়াম চালু ছিল। নবুঅত-পূর্ব কালে ও পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আশূরার সিয়াম রাখতেন। ২রা হিজরীতে রামাযানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আশূরার সিয়াম মুসলমানদের জন্য ‘ফরয’ ছিল। এরপরে এটি নফল সিয়ামে পরিণত হয়। [মুসলিম, মিশকাত হা/২০৬৯ ‘ছওম’ অধ্যায়, ‘নফল ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ-৬]
হিজরতের পর মদীনায় ইহুদীদের এ সিয়াম পালন করতে দেখে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমরাই মূসা (আঃ)-এর নাজাতে শুকরিয়া আদায় করার অধিক হকদার। আগামী বছর বেঁচে থাকলে আমি ৯ তারিখে (অর্থাৎ ৯ ও ১০ দু’দিন) ছিয়াম পালন করব’।[মুসলিম, মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০৪১, ২০৬৭]
অন্য হাদীছে ১০ ও ১১ দু’দিন সিয়াম পালনের কথাও এসেছে।[বায়হাক্বী ৪/২৮৭; মির‘আত ৭/৪৬] অতএব নাজাতে মূসার শুকরিয়া আদায়ের নিয়তে নফল ছিয়াম হিসাবে ১০ তারিখ সহ উক্ত দু’দিন অথবা কেবল ১০ই মুহাররম তারিখে আশূরার সিয়াম পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। এ সিয়ামের ফলে মুমিনের বিগত এক বছরের সকল ছগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যাবার কথা হাদীছে এসেছে। [মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৪, ‘ছওম’ অধ্যায় ‘নফল ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ-৬]
উল্লেখ্য যে, ১০ই মুহাররম তারিখে পৃথিবীতে আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ন্যায় ৬১ হিজরী সনে হযরত হোসায়েন (রাঃ)-এর মর্মান্তিক শাহাদাতের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সেজন্য নফল সিয়াম পালনের বা কোন অনুষ্ঠান বা দিবস পালনের বিধান ইসলামে নেই। অতএব আশুরার সিয়াম পালনের নিয়ত হবে ‘নাজাতে মূসার শুকরিয়া’ হিসাবে, ‘শাহাদাতে হোসায়েন-এর শোক’ হিসাবে নয়। এরূপ নিয়ত করলে নেকীর বদলে গোনাহ হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/ইসলাম/এসএ/ঘ)