ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। দর বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের কার্যদিবস থেকে কমেছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়ে এক ঘণ্টার মাথায় সূচক পতনে রূপ নেয়। যা পরবর্তীতে উত্থানে ফিরে আসে। আর এ উত্থান প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স চার পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে চার হাজার দুইশ’ ৪৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট ‍দুইশ’ ৮৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে একশ’ ৪৪টি, কমেছে একশ’ ১০টি আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের। টাকার পরিমাণে মোট লেনদেন হয়েছে চারশ’ ৭৫ কোটি ১১ লাখ টাকার।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে আট হাজার তিনশ’ ৪১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট দুইশ’ ১৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ৮৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারের। টাকার পরিমাণে মোট লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকার।

গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স কমেছিল ৩০ পয়েন্ট। এদিন মোট লেনদেন হয় চারশ’ ৮২ কোটি ৬৭ লাখ টাকার।

লেনদেনের ৬০ মিনিটে ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে চার হাজার দুইশ’ ২৭ পয়েন্টে। এসময় মোট দুইশ’ ৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৭৮টি, কমে একশ’ ১৪টি আর অপরিবর্তিত থাকে ৫২টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় একশ’ এক কোটি ১০ লাখ টাকার।

সিএসই’র সূচক ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে আট হাজার দুইশ’ ৯৭ পয়েন্টে। এসময় মোট একশ’ ৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৩২টির, কমে ৮৫টির আর অপরিবর্তিত থাকে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

ডিএসইতে লেনদেনের ৩০ মিনিটে ব্রড ইনডেক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে চার হাজার দুইশ’ ৫৩ পয়েন্টে। এসময় মোট একশ’ ৭১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে একশ’ ৩৭টি, কমে ২১টি আর অপরিবর্তিত থাকে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় ৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার।

একই সময় সিএসই’র সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে আট হাজার তিনশ’ ৪৩ পয়েন্টে। এসময় মোট ৬০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৪১টির, কমে ১৩টির আর অপরিবর্তিত থাকে ছয়টি কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেন হয় চার কোটি ৮০ লাখ টাকার।

(ঢাকাটাইমস/১৯ ডিসেম্বর/এজে)