ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম হোটেলের দেখা মিললো সুইডেনে। রাজধানী স্টকহোম থেকে মাত্র কয়েক মাইল উত্তরে অবস্থিত হোটেলটি। মাটি থেকে পাঁচশ আট ফুট গভীরে, অব্যবহৃত ‘সালা’ রূপার খনিতে তৈরি এ হোটেলে আসেন বিশ্বের নানা প্রান্তের হাজারো মানুষ।
মোমবাতির আলো জ্বেলেই সাজানো থাকে ছোট্ট হোটেলটি। রূপার খনিতে বানানো এই হোটেলে রয়েছে একটি বিছানা, একটি খাবার টেবিল, কয়েকটি চেয়ার, একটি টেলিফোন ও টেবিল ল্যাম্প। আর এ সবই রূপার তৈরি।
মাটি থেকে দেড়শ মিটার গভীরে বলে টুপটাপ পানির শব্দ ছাড়া এখানে প্রাকৃতিক কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। তাই অনেকটা আয়েশের সাথেই একেবারে নিজের মতো করে সময় কাটানো যায় হোটেল রুমে।
রূপার খনির একজন গাইড জানান,” খনির ভেতরটা খুব ঠান্ডা, কিন্তু হোটেল রুমটির ভেতরের তাপমাত্রা আবার স্বাভাবিক। আসলে পুরো হোটেলটি অত্যন্ত আরামদায়ক ও শান্তশিষ্ট।”
হোটেলটিতে থাকা খাওয়াসহ এক দিন খরচ পড়ে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার সুব্যবস্থা থাকলেও ব্যবহারের জন্য খুব একটা আকর্ষণীয় নয় হোটেলে রাখা আসবাবপত্র। তারপরও এ পর্যন্ত হাজার খানেক অতিথি ঘুরে গেছেন অভিনব হোটেলটিতে।
রূপার খনির গাইড বলেন,” এখানে কোনো নেটওয়ার্ক নেই। তাই মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। আর তাছাড়া এখানে আসা মানুষের মধ্যে দম্পতিই বেশি।”
সেই পনেরো শতকের খনি ‘সালা’। এক সময় যাকে বিশ্বের একটি লাভজনক রূপার খনি মনে করা হতো। পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে খনিটিকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হলে, ২০০৬ সাল থেকে অতিথিদের জন্য খোলা হয় এই হোটেল। আর এখন অনলাইনে বুকিংসহ অতিথিদের জন্য সারা বছরই খোলা থাকে বিশ্বের গভীরতম হোটেলটি।
(ঢাকাটাইমস/ ১৭ জানুয়ারি/ এআর/ ঘ.)