logo ০২ জুলাই ২০২৫
বিনে পয়সায় কফি পান
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১২ জানুয়ারি, ২০১৪ ১৫:৪৭:০৭
image

ঢাকা: কফির দোকানে দুটো কফির দাম দেন কিন্তু পান করেন একটি, আর অন্য কফিটি তুলে রেখে দেওয়া হয় এমন কারো জন্য যাঁর কফির দাম দেওয়ার সামর্থ্য নেই৷ জার্মানিতে এ ধরণের প্রায় ৫০টি কফির দোকান রয়েছে৷


পাতলা কালো চুল আর রুগ্ন চেহারার জন নামের মানুষটি প্রতিদিন সন্ধ্যায় যায় দিজিয়ানা ইলিচের কফি শপে৷ সেখানে যাঁরা যান তাঁদের সবাইকেই তিনি খুব ভালোভাবে চেনেন৷ যেমন ‘গৃহহীনদের সংবাদপত্র' যে মহিলার হাতে থাকে, তিনি দু-তিনদিন পরপর আসেন৷ আর তাঁরা সবাই যে কফি পান করেন সেটাও নয়৷ যেমন জন পছন্দ করে গরম চকলেট আর মহিলাটি ভালোবাসেন ফলের নির্যাস দেয়া চায়ের সাথে খানিকটা মধু৷


এই দোকানগুলোতে যিনি কফির অর্ডার দেন, তাঁকে এককাপ কফি আর একটি রসিদ দেওয়া হয়৷ যাঁর কফি কেনার সামর্থ্য নেই তাঁর জন্য রসিদটি দোকানেই রেখে যান ঐ ক্রেতা৷


শীত যত বেশি হয় মানুষের আনাগোনা ততটাই বাড়ে এবং তাঁরা গরম পানীয় পান করেন৷ শীতকালে প্রায় প্রতিদিনই গড়ে অন্তত তিনজন করে মানুষ এমন কফি খেতে আসেন।


হামবুর্গ শহরের ‘লোহাসকফি' নামের এই কফির দোকানটির ভেতরে কমলা রং-এর আলো, বেশ খোলামেলা আর দোকানটা সাজানো হয়েছে সুন্দর বেতের চেয়ার দিয়ে৷ ইলিচ এই কফি শপেরই পরিচালিকা৷


তিনি বলেন, ‘‘এখানে এক কাপ কফির দাম ৩.৬০ ইউরো৷ তবে তা জনের মতো গৃহহীন মানুষদের জন্য নয়, জনের জন্য কফি ‘ফ্রি'৷'' এই কফিকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাসপেন্ড কফি' বা বলা যেতে পারে অন্যদের জন্য আলাদা করে তুলে রাখা কফি৷ বলা বাহুল্য, এই ধরণের কফি শপগুলো জার্মানিতে দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে৷


ইলিচ ইন্টারনেটেই প্রথম এই ধরণের কফি শপের কথা পড়েছিলেন৷ সেখান থেকেই তাঁর এই ভাবনা এসেছে৷ ইন্টারনেটে অনেককিছুই লেখা থাকে, অনেক ধারণাই থাকে৷ কিন্তু কোন আইডিয়া আসলে কার, তার আসল মালিককে পাওয়া খুব সহজ নয়৷ তবে কফি কেনার মধ্য দিয়ে সাহায্য করার ব্যাপারটি অভিনব৷


ইলিচ মনে করেন, এই উদ্যোগটি সফল হবার কারণ সাহায্যকারীরা পর্দার আড়ালে থাকেন বলে৷ সরাসরি কাউকে সাহায্য দেয়া বা কারো পক্ষে সাহায্য নেয়া সেভাবে সব সময় সম্ভব হয় না৷


তবে এই ‘আইডিয়া' সম্পর্কে সমালোচকরা ভিন্নমত পোষণ করেন৷ তাঁদের মতে, এ ধারণাটি একেবারে নতুন নয়৷ বহু বছর আগে নাকি ইটালির নেপলস শহরে এই একই ধরণের কফি শপের প্রচলন ছিল৷


(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/জেএস)