ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রথম পর্ষদ নির্বাচনে ট্রেকহোল্ডার থেকে পরিচালক হতে আগ্রহী আট প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা শেষে এ আট প্রার্থী নিশ্চিত করা হয়।

ডিএসইর প্রথম নির্বাচিত বোর্ডের পরিচালক হতে আগ্রহী প্রার্থীরা হলেন— এক্সচেঞ্জটির সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও ডিএসইর সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, বর্তমান সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহজাহান, বর্তমান পরিচালক ও রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী, খাজা ইকুইটি সার্ভিসেস লিমিটেডের খাজা গোলাম রসুল, এসেনজ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান লাইলুন নাহার একরাম, মো. শহিদুল্লাহ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফ আনোয়ার হোসেন ও ডেসা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামিম আফজাল।

এর মধ্যে শাকিল রিজভী ২০১০-১১ সালে ডিএসইর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। আর জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ১৯৮৭-৮৯ সাল পর্যন্ত ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

আইন অনুযায়ী, বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক। একই সঙ্গে এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র পরিচালক থেকে নির্বাচিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্যেরই স্টক এক্সচেঞ্জ পরিচালনার পূর্ব-অভিজ্ঞতা থাকবে না। তাই এ পর্ষদকে সহযোগিতার জন্য অভিজ্ঞতাসম্পর্ন প্রার্থীরা এগিয়ে এসেছেন।

 

পরিচালক পদে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও ডিমিউচুয়ালাইজেশন (বিন্যস্তকরণ) স্কিম অনুযায়ী ট্রেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে চারজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ জানুয়ারি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ট্রেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে স্বতন্ত্র পরিচালক বাছাইয়ের কাজটি প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত ৬৬ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা, সাবেক ব্যাংকার, নিরীক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার দক্ষ ব্যক্তিরা রয়েছেন। এসব ব্যক্তির অধিকাংশই স্বতন্ত্র পরিচালক পদ গ্রহণের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলেও বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বিব্রত বোধ করছেন।

প্রসঙ্গত, অনুমোদিত ডিমিউচুয়ালাইজেশন (মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ) স্কিম অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ হবে ১৩ সদস্যের। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য স্বতন্ত্র পরিচালক হবেন। পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক সাতজন ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারসহ (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) শেয়ারহোল্ডার অথবা ট্রেকহোল্ডার পাঁচজন থাকবেন।

এছাড়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন এবং ভোটাধিকার পাবেন। স্কিমে উল্লিখিত নিয়মানুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিযুক্ত হবেন। পরিচালক, স্বতন্ত্র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যেকের মেয়াদ হবে তিন বছর। তবে যত দিন পর্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত না হবে তত দিন পর্যন্ত এ পদ শূন্য থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এএসএ)