ঢাকা: সপ্ত‍াহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে সাতশ’ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। এদিকে টানা আট কার্যদিবস ধরে বাড়লো উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক।

ডিএসইতে আজ সাতশ’ আট কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যা গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার এ বাজারে ছয়শ’ ৪৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল ডিএসইতে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র ডিএসইএক্স সূচক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে চার হাজার পাঁচশ’ ৬৫ পয়েন্টে।

সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের বাড়তি প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। সূচকের ঊর্ধ্বমুখী এই প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ডিএসইতে আজ দুইশ’ ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে একশ’ ৬৭টির দাম বেড়েছে। কমেছে একশ’ ১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে খাত ভিত্তিক মোট লেনদেনে জ্বালানি খাতের অবদান প্রায় ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, টেক্সটাইল খাতের ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড দুই দশমিক ৭২ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাত তিন দশমিক ৪১ শতাংশ, আর্থিক প্রাতিষ্ঠান খাত প্রায় আট দশমিক এক শতাংশ, ব্যাংক ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাত প্রায় আট দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রকৌশল ১৫ দশমিক তিন শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক দুই দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ইন্স্যুরেন্স খাতের অবদান সাত দশমিক ২৩ শতাংশ।

দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে সিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক একশ’ ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার একশ’ ৩৭ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ দুইশ’ ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে একশ’ ১০টির দাম বেড়েছে। কমেছে একশ’ দুইটির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

সিএসইতে আজ ৬৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ছয় কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার এ বাজারে ৫৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯ জানুয়ারি/এজে)