logo ১৯ মে ২০২৫
আগামীকাল বিশ্ব ইজতেমা, কপ্টারে র‌্যাবের টহল
গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
২৩ জানুয়ারি, ২০১৪ ১২:৫২:২৯
image

গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের ৪৯তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে।


ইজতেমা উপলক্ষে মাঠের সব ধরণের প্রস্তুতি কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াসউদ্দিন।


তিনি বলেন, প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুক্রবার শুরু থেকে শুরু হবে। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হবে।৩২টি জেলার তাবলিগ জামাতের মুসল্লি ও সর্বস্তরের মুসলমান প্রথম পর্বে অংশ নেবেন। এছাড়া বিশ্বের ১৩০টি দেশের মুসলমান এবারের ইজতেমায় অংশ নেবেন। ইজতেমার মাঠকে মোট ৪০টি খিত্তায় ভাগ করে জেলা অনুযায়ী স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।


ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি থেকে। চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।


ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের রাত যাপনের জন্য মাটিতে চট বিছিয়ে, ওপরে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। মুসল্লিদের অজু-গোসল, পানের জন্য চৌবাচ্চা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বিশুদ্ধ পানিতে পূর্ণ করা হয়েছে। ইজতেমার শেষ দিন পর্যন্ত এসব চৌবাচ্চায় নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ থাকবে।


এছাড়া মাঠের চারদিকে স্থায়ী শৌচাগারের পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে অনেক অস্থায়ী শৌচাগার। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম দিকে বিদেশি মেহমান খিত্তার পাশে স্থাপন করা হয়েছে নামাজের স্থান। আর তুরাগতীরের পশ্চিম দিকে মাঠের মাঝামাঝি রয়েছে বয়ানের মঞ্চ। মাঠের প্রতিটি কোনে মুসল্লিদের বয়ান শোনার জন্য মাইক লাগানো হয়েছে। ইজতেমা চলার সময় থাকবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ।


গাজীপুর জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমা চলাকালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মুসল্লিদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মুসল্লিদের জন্য চিকিৎসাসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ মেডিকেল টিম। মাঠের আশপাশের খাবার দোকান ও আবাসিক হোটেলের মান ঠিক রাখতে ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।


গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইজতেমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার ১০ হাজার সদস্য।এছাড়া র‌্যাবের দুটি হেলিকপ্টার ইজতেমা মাঠের আকাশে টহল দেবে। নজরদারির জন্য মাঠের চারদিকে ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।


(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর/ঘ.)