logo ০৭ মে ২০২৫
একজন কর্মকর্তার বিদায়, স্বস্তিতে বাংলাদেশ পুলিশ!
সাবিহা ইয়াসমিন ইসলাম
১০ জুলাই, ২০১৪ ১৬:০১:৫৯
image


গত ৯ জুলাই ২০১৪ দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি সংবাদ যার শিরোনাম ‘সচিব মোশতাকের বিদায়, পুলিশে স্বস্তির নিঃশ্বাস, অবসান হবে মন্ত্রণালয় ও সদর দপ্তরের টানাপড়েন।’

যেখানে উল্লেখ আছে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সি কিউ কে মোশতাক আহমেদের বিদায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় আড়াই বছর ধরে গতি হারানো পুলিশের উন্নয়ন ও রুটিন কাজ এখন থেকে স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে বলে তাদের বিশ্বাস। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সদ্য বিদায়ী এই সচিব দায়িত্বে থাকাকালে নানা অজুহাতে বছরের পর বছর আটকে রেখেছেন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো শতাধিক পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্তের নথি ...।’

আরও উল্লেখ আছে, ‘... পুলিশ বাহিনীকে হেয় করতে সরকারি চিঠিপত্রে প্রশাসন ক্যাডারের জুনিয়র কর্মকর্তাদের নিচে স্থান দেয়া হয়ছে সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ আর হতাশা। সৃষ্টি হয়েছে মন্ত্রণালয় আর পুলিশের মধ্যে টানাপড়েন।’

এখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘শেষের দিকে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে রূপ নিয়েছিল যে, তিনি পুলিশ বাহিনী ও সরকারকে একরকম মুখামুখি আবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন।’ ‘... সদ্য বিদায়ী সচিবের নেতিবাচক মানসিকতার কারণেই দীর্ঘদিন থেকে ঝুলে আছে রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে কাউন্টার টেররিজম গঠনের প্রস্তাব ...।’ ‘কারণে-আকারণে তিনি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন।’ ‘... পুলিশের আইজি পদটি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার হলেও সরকারের বিভিন্ন কাগজপত্রে আইজিপিকে সব সময় ক্রমতালিকায় প্রসাশনের নিচে উপস্থাপন করে হেয় করার চেষ্টা করেছেন । ...তিনি সব সময় পুলিশ সদর দপ্তরকে পুলিশ অধিদপ্তর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ ১৯৯০ সালে সরকারি গেজেট অনুযায়ী পুলিশের প্রধান কার্যালয়কে পুলিশ সদর দপ্তর হিসেবে চিহ্নিত করে ...।’ ‘বিদায়ী স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মোশতাক আহমেদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেকেও সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি কাজে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছেন এমনকি পুলিশের পদোন্নতিতেও বাদ সেধেছেন তিনি ...।’

অবাক হয়েছি খবরটি পড়ে! বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ অভাবনীয়, অবিশ্বাস্য! এই রিপোর্টের কথাগুলো যদি সত্য হয় তাহলে বলতে হবে তিনি সরকারি Rules, regulations উপেক্ষা করে এর বাইরে এসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গেছেন।

সরকারি কোন পর্যায় বা লেভেলের কর্মকর্তার নাম আগে লেখা হবে কোন পর্যায় বা লেভেলের কর্মকর্তার নাম পরে লেখা হবে এটা কারো স্বেচ্ছাচারিতার ওপর কখনও নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে Warrant of precedence-এর ওপর। Warrant of precedence-এ নির্ধারণ করা আছে সরকারি কোন লেভেলের কর্মকর্তার নাম ক্রমানুযায়ী আগে বা পরে বসবে। সরকারি চিঠিতে, প্রজ্ঞাপনে, নোটিশে কাউকে হেয় বা কাউকে বড় করার জন্য স্বেচ্ছাচারীভাবে কারো নাম আগে বা পরে লেখা মানে warrant of precedence উপেক্ষা করা এবং এর বাইরে গিয়ে কিছু করা। বাংলাদেশ সরকারের একজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এ রকম হীনমন্যতা কেন প্রদর্শন করবেন, সেটা বোধগম্য নয়।

মাত্র একজন কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতা পুলিশ আর প্রশাসনের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি কিভাবে করতে পারে অথবা কী উদ্দেশে পুলিশ বাহিনী আর সরকারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে পারে সেটাও অভাবনীয়। মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে কাউন্টার টেররিজম গঠনের প্রস্তাবের মতো প্রয়োজনীয় বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ মাত্র একজন কর্মকর্তার আড়াই বছর মেয়াদকালের স্বেচ্ছাচারিতায় বা সিদ্ধান্তে কিভাবে অকার্যকর হতে পারে, সেটাও অবিশ্বাস্য।

Warrant of precedence-এর বাইরে গিয়ে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদার আইজিপির নাম সরকারের বিভিন্ন কাগজপত্রে ক্রমতালিকায় প্রশাসনের নিচে উপস্থাপন যদি সত্যিই করা হয়ে থাকে সেটা Warrant of precedence-কে উপেক্ষা করা এবং হীনমন্যতা ছাড়া আর কিছু নয়। পুলিশ সদর দপ্তরকে পুলিশ অধিদপ্তর হিসেবে উল্লেখ করার পেছনে যুক্তিযুক্ত কী লাভ-ক্ষতি আছে সেটাও বোধগম্য নয়।

বিদায়ী স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মোশতাক আহমেদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেকেও সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি কাজে পদে পদে কেন- কী কারণে বাধা সৃষ্টি করেছেন এবং পুলিশের পদোন্নতিতেও বাদ সেধেছেন এবং কেনই-বা বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ পুলিশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকাণ্ড মাত্র একজন কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতার এবং একক সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আড়াই বছর ধরে গতিহীন করে রেখেছে, সেটাও বোধগম্য নয় ।

আমার দীর্ঘদিনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বুঝেছি ও জেনেছি যে, পুলিশ ও প্রশাসন একে অন্যের পরিপূরক, সম্পূরক। বাংলাদেশ সরকারের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ একে অন্যকে বাদ দিয়ে, হেয় করে, উপেক্ষা করে বা বিবাদ করে কোনো বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারা বা কোনো কাজ সুষ্ঠুমতো সম্পন্ন করতে পারা অসম্ভব। একে অন্যকে হেয় করা, উপেক্ষা করা, ছোট করে দেখা মানে রাষ্ট্র এবং সরকারের আইনসম্মত নিয়মনীতির বিরোধিতা করা। দেশকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অস্থিতিশীল করে তোলা। যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশ, জাতি, রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য পুলিশ এবং প্রশাসন এই দুইটি বিভাগকে বিবাদ, বিভেদ বিভাজন ভুলে হাতে হাত মিলিয়ে একে অন্যের পরিপূরক হয়ে কাজ করার মানসিকতা বজায় রাখা দেশের ও জনগণের মঙ্গলের জন্য অপরিহার্য।

এই লেখাটি পড়ে প্রায় ভুলে যাওয়া একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। ১৯৯৭ সালের কথা- আমার স্বামী জেলা প্রশাসক হিসেবে সুদূর পঞ্চগড়ে কর্মরত ছিলেন। তখন পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রয়াত আবু বকর সিদ্দিকী। সরকারি দায়-দায়িত্বের বাইরে এই দুই কর্মকর্তার মধ্যে দেখেছি আন্তরিক সখ্য ও বন্ধুত্ব। একে অন্যর পরিপূরক হয়ে সেই ছোট জেলা শহরটিকে সবার জন্য সেই সময় স্বর্গবাসতুল্য করেছিলেন। দুটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও আমরা একই রকম আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম। উভয় পক্ষের সরকারি-বেসরকারি যেকোনো অনুষ্ঠানে উভয়ের সরব উপস্থিতি ছিল অপরিহার্য। ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা সরকারি সফরে পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন। ‘সার্কিট হাউস’-এ তাঁর উদ্দেশে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন ‘... পঞ্চগড় একটি শান্তির জেলা। এখানে ডিসি-এসপির মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে কোনো পরামর্শ বা নির্দেশ দেয়ার কিছু নেই। এখানে ডিসি, এসপি দুজনের মিলিত প্রয়াস ও পদক্ষেপে এই ছোট জেলা শহরটিকে একটি শান্তির শহরে পরিণত করেছেন-...।’



একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুনিয়ন্ত্রিত রাখা এবং দেশে শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যে সুনিয়ন্ত্রিত আন্তরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই বরং এটি একান্ত অপরিহার্য। বিভাগে বিভাগে বিভেদ, বিবাদ সৃষ্টি করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কোনো কৃতিত্বের পরিচায়ক নয় বরং এতে ব্যক্তিহীনমন্যতাই প্রকাশ পায়।

 তবে পুলিশ –সিভিল প্রশাসনের কারো কারো মধ্যে এই বিবাদ, বিভেদ, হিংসা নতুন কিছু নয়। সময় সময় কিছু জেলাতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের মধ্যে একই রকম হিংসা-বিদ্বেষ, বিবাদের সুনিপুণ চর্চা চলে আসছে অনেক বছর ধরে। এটাকে একধরনের চৌকস মানসিকতার চর্চা বলে গর্ববোধ করেন অনেক কর্মকর্তা। ঠিক এ রকমই এক মানসিকতার চর্চার পরিণতি ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ‘ইয়াসমিন হত্যা’র পরবর্তী পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের মধ্যে অনৈক্যের প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, যা সব জেলার মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত করেছিল এবং তৎকালীন সরকারকে বিব্রত করেছিল। এখন একটি নতুন কালচার তৈরি হয়েছে দেশে! নতুন নতুন ঘটনার জন্ম দিয়ে, নতুন নতুন কথামালা সৃষ্টি করে চমক তৈরি করা। একটির পর একটি পেছনের ঘটনাকে ভুলিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা। পেছনে ফেলে আসা ভালোমন্দ কোনো ঘটনা থেকে কারো কোনো শিক্ষা নেয়ার সুযোগ থাকছে না। ভুলিয়ে দেয়ার এই কালচার সাধারণ মানুষকে ধোঁকায় ফেলার প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশই হোক বা প্রশাসনিকই হোক সরকারি কর্মকর্তাদের পেছন থেকে ভালোমন্দ বিষয়ে শিক্ষা নেয়া উচিত। একে অপরের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত হিংসা-বিদ্বেষ, নিন্দা, পাল্লা এবং নিম্ন মানসিকতার চর্চা বিকৃত মানসিকতা বা মানসিক অসুস্থতার পরিচায়ক।

পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি বা উস্কে দেয়ার মানুষেরও অভাব নেই আমাদের দেশে। এই প্রসঙ্গে আরেকটি ঘটনা মনে পড়ে গেল -

২০১১ সালের ঘটনা, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’-এর Legal Advisor হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় কোনো একদিন একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় বিষয়ে মিটিং চলাকালে একজন বিশিষ্ট নাগরিক সেই সম্মানিত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত একটি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে আসেন। তাঁর নিবেদন ছিল, পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদবিষয়ক।



পাশে বসে যতটুকু শুনে বুঝতে পারছিলাম, তিনি ভাড়াটিয়ার সঙ্গে বাড়ি ভাড়া বিষয়ে কোনো লিখিত চুক্তি করেননি। ভাড়াটিয়া তাঁর সঙ্গে ভাড়া বিষয়ে আইনবিরোধী বা আচরণগত কোনো সমস্যা তৈরি করেননি। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত বিশেষ কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করতে চান। সম্মানিত পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদসংক্রান্ত আইনগত পদ্ধতি সম্পর্কে বোঝাতে চাইছিলেন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বিব্রত করে, আমাকে হতবাক করে একটি অযাচিত অপ্রাসঙ্গিক পরামর্শ দিলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী ক্ষমতাসহ কিছু কিছু তাৎক্ষণিক বিচারিক ক্ষমতা আপনারা আপনাদের হাতে নিয়ে নিচ্ছেন না কেন? তাহলে তো আমাদের এত আইনি জটিলতার মধ্যে যেতে হয় না। আমরা এসব কাজ শুধু আপনাদের দিয়েই করিয়ে নিতে পারি...।’ সম্মানিত পুলিশ কর্মকর্তা এর কী জবাব দিতেন জানি না! এতক্ষণ আমি এক পাশে চুপচাপ বসে সেই বিশিষ্ট নাগরিকের বক্তব্য শুনছিলাম; কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য শুনে আমি নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। উপযাচক হয়ে তার কথাটি কেড়ে নিয়ে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম ‘আপনি এত বড় শিক্ষিত বিশিষ্ট নাগরিক হয়ে কেন আইনগত পদ্ধতিতে বাসাভাড়া দেননি। আইনগত পদ্ধতিতে আপনি উচ্ছেদের আদেশটি কোর্ট থেকে নিয়ে এলে উচ্ছেদ কাজটি আইনসম্মত, সহজ ও সঠিক হতে পারত। আপনি নিজে আইন না মেনে বেআইনি সাহায্য নিতে এসে বেআইনি পরামর্শ কেন দিতে চাচ্ছেন ...।’

কোনো বিশিষ্ট নাগরিকের বেআইনি পরামর্শে কারো কিছু এসে যায় না যদি পুলিশ এবং প্রশাসন একে অন্যের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অর্পিত ক্ষমতা কর্তব্য এবং দায়িত্ব আইনসম্মতভাবে প্রয়োগ করেন। এতে দেশে আইন, নিয়মনীতি রক্ষা হবে। সরকার ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। এতে নিজেরা শান্তিতে  থাকবেন দেশকে শান্তিতে রাখতে পারবেন, দেশের মানুষও শান্তিতে থাকতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।

লেখক: অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ