logo ১৭ মে ২০২৫
অতিকথন ইসলামে অপছন্দনীয়
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১৯:১০:১৪
image

ঢাকা: ভাষার মাধুর্য ও সৎচরিত্র ইসলামের অপূর্ব সৌন্দর্য। সংযত ভাষায় কথা বলা ঈমানের পরিচয় বহন করে। একবার রাসুলকে (সা.) প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজে জান্নাতে যাওয়া যাবে? তিনি উত্তরে বললেন, ‘আল্লাহর ভয় ও সৎচরিত্র।’ এরপর প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজের কারণে মানুষ জাহান্নামে যাবে? তিনি বললেন, ‘অসংযত জিহ্বা ও লজ্জা স্থানের লাগামহীনতা।’


এই হাদিস দ্বারা স্পষ্ট, কেউ তার জিহ্বাকে অপব্যবহার করলে তা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘অসংযত জিহ্বা মানুষকে আগুনের ইন্ধন বানাবে।’ এক সাহাবি এসে রাসুলের (সা.) কাছে জান্নাতের নিশ্চয়তা চাইলেন। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, তুমি যদি তোমার জিহ্বা ও লজ্জা স্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারো তবে আমি তোমাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারি। ইসলামের নির্দেশ হলো যথাসম্ভব কম কথা বলা। যে বেশি কথা বলে তার ভুল বেশি হয়, তাকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। আর যিনি চুপ থাকেন তিনি অনেক আপদ থেকে বেঁচে যান।


ইসলামি দার্শনিক ইমাম গাজালি (রহ.) বলেছেন, ‘জিহ্বা একটি গোশতের টুকরা। এটা আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। তবে এর দ্বারা পাপকর্মও সবচেয়ে বেশি হয় এবং এর শাস্তিও সবচেয়ে বেশি।’ শেখ সাদী (রহ.) বলেছেন, ‘যতক্ষণ কেউ মুখ খুলবে না ততক্ষণ তার দোষ-গুণ প্রকাশ পায় না।’পার্থিব যত উন্নতি-অগ্রগতি সবকিছুর সঙ্গে ভাষার যোগসূত্র রয়েছে।


এজন্য কথা বলার শক্তি যেমন অনেক বড় স্বাধীনতা, তেমনি এটা একটি মহান দায়িত্বও বটে। কথা সত্যও হয় আবার মিথ্যাও হয়। তবে আল্লাহ জিহ্বা দান করেছেন সত্য বলার জন্য। এজন্য মুমিনের উচিত সব সময় সত্য বলা। অহেতুক কথাবার্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখা। জিহ্বা সংযত রাখার অর্থ হচ্ছে তাকে মিথ্যা থেকে বাঁচানো। পরচর্চা, পরনিন্দা, কুৎসিত কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা।


যে কথায় সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, কেউ কষ্ট পায়, কারো ক্ষতি হয় সে কথা না বলাই ভালো। যিনি তার জিহ্বার সুপ্রয়োগ করেন ইসলামের চোখে তিনি মহান ব্যক্তি। ভালো কথাকে হাদিসে ‘সদকা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের উচিত জিহ্বাকে সংযত রাখা এবং ভালো কথা ।


(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/জেবি)