তাওয়াক্কুল মুমিনের সম্পদ
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
০৪ মার্চ, ২০১৫ ০০:২৪:৩৫

ঢাকা: তাওয়াক্কুলের অর্থ নিজের অপারগতা পেশ করা এবং অন্যের ওপর নির্ভর করা। একজন প্রকৃত মুমিন মনে করেন, তার কোনো কিছু করার ক্ষমতাই নেই। তার ওপর যাবতীয় কর্তৃত্ব মহান স্রষ্টার ওপর। আল্লাহর ওপর নির্ভরতার এই বিশ্বাস ইসলামে তাওয়াক্কুল হিসেবে পরিচিত।
কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে তাওয়াক্কুলের কথা উল্লেখ আছে। বান্দার এই অপারগতাকে আল্লাহ অত্যন্ত পছন্দ করেন। কেউ প্রকৃত অর্থেই আল্লাহর ওপর নির্ভর করলে তার দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর ওপর নির্ভর করে আল্লাহ তাদের জন্য যথেষ্ট। তাদের কোনো ভয়-চিন্তা নেই। তাদের কোনো অস্বস্তি ও ভাবনা নেই।
তাওয়াক্কুলের জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভরতা যেমন জরুরি তেমনি নিজের সাধ্যমতো চেষ্টাও করতে হবে। হাত-পা গুটিয়ে রেখে শুধুই তাওয়াক্কুল করে বসে থাকলে কিছু অর্জিত হবে না। যেমন রাসুলকে (সা.) ইসলামের জন্য লড়াই ও সংগ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা বলেননি যে, আল্লাহর নাম নিয়ে বের হয়ে যাও। বরং নির্দেশ দিয়েছেন সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করতে এবং বাহ্যিক যত উপকরণ আছে তা অবলম্বন করতে। পরে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করতে বলা হয়েছে।
ইসলামে তাওয়াক্কুলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সুরা আলে ইমরানে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ছেড়ে যাও তাহলে পরে তোমাদের কে সাহায্য করবে? মুমিনের উচিত আল্লাহর ওপরই তাওয়াক্কুল করা।’ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি তাওয়াক্কুলের মতো তাওয়াক্কুল কর তাহলে তোমাদের এমন রিজিক দেয়া হবে যেমন পাখিরা সকালে খালি পেটে বাসা থেকে বের হয় আর সন্ধ্যায় পেট ভরে খাবার খেয়ে বাসায় ফিরে।’
মুমিন বান্দারা যখন প্রকৃত অর্থেই আল্লাহর ওপর নির্ভর করে তখন আল্লাহ তাদের দায়িত্ব নিয়ে নেন। আর যার দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই গ্রহণ করেন তার তো কোনো ভাবনা নেই। এজন্য আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তার ওপর তাওয়াক্কুল করে নির্ভার হয়ে যান। নিজের জীবন-মরণ সবকিছু আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেন। বান্দার নিঃশর্ত সমর্পণ ও সর্বোতভাবে নিবেদন আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। এজন্য যারা তাওক্কুলের শিক্ষায় জীবন গঠন করেছেন তারাই আল্লাহর ওলি বা আল্লাহ সরাসরি তাদের অভিভাবক। তাই আল্লাহকে নিজের অভিভাবক বানাতে হলে চাই বিশ্বাসে আল্লাহর ওপর নির্ভরতা বাড়ানো। আল্লাহ যাদের অভিভাবক দুনিয়া-আখেরাত সবই তাদের।
(ঢাকাটাইমস/৪মার্চ/জেবি)