logo ১৬ মে ২০২৫
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলাম
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ২০:০১:১৭
image

ঢাকা: সুশাসন বলতে আমরা বুঝি ভালো শাসন। ন্যায়-নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে যে শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয় সেটাই সুশাসন। একটি পরিবার থেকে নিয়ে রাষ্ট্র পর্যন্ত সবখানেই সুশাসন জরুরি। পারিবারিক পরিম-লে যদি সুশাসন না থাকে; বৈষম্য ও অসমতা থাকে তবে সেখানে কখনো শান্তি আসবে না। সুশাসন না থাকলে একটি সমাজও বসবাসের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। সামাজিক স্তম্ভগুলো যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে সেগুলো হয়ে পড়ে নড়বড়ে। সুশাসনের অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাষ্ট্র। সুশাসন ও ন্যায়-নীতির বালায় না থাকলে রাষ্ট্র হয় ব্যর্থ। আর ব্যর্থ রাষ্ট্রের অবস্থা কত নাজুক হতে পারে সে কথা কারো অজানা নয়। ইসলামপূর্ব জাহেলি সমাজে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল সুশাসনের। এজন্য সেই সমাজব্যবস্থার চিত্র ছিল এত করুণ।


মানবতাবাদী ধর্ম ইসলাম সুশাসনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সুশাসনের যতগুলো উপাদান সবগুলোর বাস্তবায়নে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রয়োগ রয়েছে। পরিবার থেকে নিয়ে রাষ্ট্র পর্যন্ত সবখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলাম পালন করেছে অগ্রণী ভূমিকা। শুধু নির্দেশনা নয়, ইসলামের নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) বাস্তবেও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে মডেল রেখে গেছেন। ঐতিহাসিক ‘মদিনা রাষ্ট্র’ চিরকালের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে সুশাসনের মডেল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন পুঙ্কানুপুঙ্ক সুশাসন আর কোথাও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।


শুধু রাসূলের যুগেই নয়, এর পরবর্তী চার খলিফার যুগেও সুশাসনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। ইসলামের স্বর্ণযুগের পর আস্তে আস্তে নানা ক্ষেত্রে সুশাসন বিঘ্নিত হতে থাকে। তবে প্রকৃত মুসলিম শাসকদের অধীনস্থ রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন অনেকটাই অক্ষুণœ ছিল। ইসলামি খেলাফতব্যবস্থা যতদিন পৃথিবীতে বহাল ছিল ততদিন সুশাসনের বড় কোনো সংকট দেখা দেয়নি। খেলাফতের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বেশির ভাগ অঞ্চলেই সুশাসনের অভাব দেখা দিতে থাকে। বর্তমান বিশ্বে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতেও প্রকৃত সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। সুশাসনের যে উপাদান এর বেশির ভাগই নেই মুসলিম সমাজে। সুতরাং অন্য সমাজে সুশাসনের অস্তিত্ব না পাওয়ারই কথা।


সমস্যাসঙ্কুল এই বিশ্বে আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুশাসন। সুশাসনের অভাবে আজ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মানবাধিকার; সংকটে পড়ছে মানবসভ্যতা। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম এবং এর প্রণীত অনুশাসনের কোনো বিকল্প নেই।


(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/জেবি)