ইসলামে সময়ানুবর্তিতা
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ২১:১০:৪৫

ঢাকা: মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই অতি মূল্যবান। অহেতুক বা কর্মহীন কাটানোর মতো সময় মানুষের জীবনে থাকার কথা নয়। যারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়েছেন, তারাই দুনিয়াতে সার্থক হয়েছেন। আর যারা সময় নষ্ট করেছেন তাদের আক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নেই। জীবনের সময়গুলো কাজে লাগানোর একটি বড় উপায় হলো সময়ানুবর্তিতা। সময়ের কাজ সময়ে করা, রুটিন ধরে কাজ সম্পাদন এটা ইসলামেরও নির্দেশ। সময়ের কাজ সময়ে না করলে সারা জীবন পস্তাতে হয়। শয়তান মানুষের পেছনে সবসময় লেগে আছে। মানুষ ভালো কাজ করে সফল হোক, এটা শয়তান কখনো চায় না। শয়তানের সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে সফল হওয়ার একমাত্র উপায় হলো জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগানো।
উম্মতের রুহানি ডাক্তারখ্যাত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ.) বলেন, ‘সংক্ষেপে তাসাওউফের নির্যাস হলো, ইবাদত করতে অলসতাবোধ হলে অলসতার মোকাবিলা ইবাদতের মাধ্যমেই করা। আর কোনো গুনাহ করার ইচ্ছা জাগলে তার মোকাবিলাও গুনাহটি বর্জন করার মাধ্যমেই করা। এটাই সব আধ্যাত্মিকতার সারকথা।’
রাসুল (সা.) বলেন, ‘মরণ আসার আগেই জীবনের মূল্যায়ন কর।’ ইসলামের শিক্ষা হলো ফজরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে এই দোয়া করবে, হে আল্লাহ, আজকের দিনটি শুরু হচ্ছে, জীবনকর্মে প্রবেশের সময় শুরু হয়েছে। দয়া করে এই দিনটির প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে ব্যয় করার তওফিক দান করুন। অর্থহীন কাজে যেন দিনটি ফুরিয়ে না যায়, কল্য্যাণমূলক কাজে দিনটিকে ব্যয় করার তওফিক আমাকে দান করুন। তারপর রাতে শোবার সময় দিনটির হিসাব নেবে যে, সকালে যে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে, তার সঙ্গে গোটা দিনটায় কী পরিমাণ ঘনিষ্ঠ ছিল। কোন কোন ক্ষেত্রে বিচ্যুতি হয়েছিল। বিচ্যুত অংশের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা-ইসতেগফার করবে।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘যখন সকালবেলায় উপনীত হবে, তখন সন্ধ্যার অপেক্ষা কর না এবং সন্ধ্যায় সকালের অপেক্ষা কর না। নিজেকে কবরবাসীর একজন মনে কর।’ একজন মুমিনের দিন-রাতের কোনো সময়ই পরিকল্পনাহীন কাটতে পারে না। সময়ের একটি পূর্ণাঙ্গ রুটিন মুমিনের থাকতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জীবনে অনেক বরকত আসে। পুরো সময়টাকে যারা পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করতে পেরেছেন, তারাই কিছু একটা করতে পেরেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/জেবি)