মুমিনের পরীক্ষা
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ২০:৩৫:০৩

ঢাকা: আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের পরীক্ষা নেন। যাকে তিনি পছন্দ করেন তাদের মর্যাদা আরো বাড়ানোর জন্য তিনি এই পরীক্ষা নেন। যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা এই পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। নিজেদের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রু কোরবানি করেছেন। কোরআনে বলা হয়েছে, 'আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফসলের স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’
অন্যত্র বলা হয়েছে, 'মানুষ কি মনে করে যে, 'আমরা ঈমান এনেছি' বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না? আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী।’
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘বিপদ ও পরীক্ষা যত কঠিন হবে তার প্রতিদানও তত মূল্যবান। আর আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন অধিক যাচাই ও সংশোধনের জন্য তাদেরকে বিপদ ও পরীক্ষার সম্মুখিন করেন। অতঃপর যারা আল্লাহর সিদ্ধান্ত খুশি মনে মেনে নেয় এবং ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাদের ওপর সন্তুষ্ট হন। আর যারা এ বিপদ ও পরীক্ষায় আল্লাহর ওপর অসন্তুষ্ট হয় আল্লাহও তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন।’
বান্দাদের মধ্যে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন তার নবীরা। আর নবীদেরই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। যেমন ইউনুসকে (আ.) আল্লাহ মাছের পেটে নিয়ে গিয়েছিলেন, মুসাকে (আ.) শত্রুর কোলে লালিত-পালিত করেছেন, আইয়ুবকে (আ.) কঠিন রোগ দিয়েছিলেন, ইবরাহিমকে (আ.) প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করার মতো পরীক্ষায় ফেলেছিলেন, ইউসুফকে (আ.) কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন, ঈসাকে (আ.) শত্রুদের ক্রোশে বিদ্ধ করেছেন। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা নিয়েছেন আমাদের প্রিয়নবী (সা.) এর। ৬৩ বছরের জীবনের পদে পদে তিনি পরীক্ষা দিয়ে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে যুগে যুগে যারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়েছেন তারাই আল্লাহর কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মুমিনের জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকবেই। আল্লাহ চান পার্থিব ক্ষণস্থায়ী জীবনে সামান্য দুঃখ-কষ্ট সইয়ে মুমিন বান্দারা নিখাত হয়ে অনন্তকালের জন্যে জান্নাতে প্রবেশ করুক। এজন্য বিপদাপদকে আল্লাহর পরীক্ষা মনে করতে হবে। এসব মুহূর্তে হাল ছেড়ে অধৈর্য হলে চলবে না। যারা সবরের সঙ্গে আল্লাহর পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন তারাই সফল।
(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/জেবি)