কোরআনের কারণেই রমজানের মর্যাদা
ইসলাম ডেস্ক
০৩ জুলাই, ২০১৫ ১৫:৪৬:৪৩

ঢাকা: সিয়াম সাধনার এ মাসটি পবিত্র কোরআন নাজিলেরও মাস। কোরআনের কারণেই এই রমজানের মর্যাদা এত বেশি। পরশ পাথরতুল্য কোরআন যার সঙ্গে লেগেছে, তাকেই সোনায় পরিণত করে দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ মাসটিতে সবচেয়ে বেশি তেলাওয়াত করতেন।
হজরত জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কোরআনের ‘দাওর’ করতেন প্রিয় নবীজি (সা.)। অর্থাৎ তিনি তেলাওয়াত করতেন, জিবরাইল (আ.) শুনতেন, আবার জিবরাইল (আ.) তেলাওয়াত করতেন, তিনি শুনতেন। মাহে রমজান ও পবিত্র কোরআনের সম্পর্ক গভীর ও সুনিবিড়।
রমজান ও কোরআনের সম্পর্ক সূত্র উল্লেখ করে পবিত্র কোরানে ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান সেই মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে।’ অন্য জায়গায় ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরান নাজিল করেছি কদরের রাতে।’ রমজানের মাসব্যাপী ইবাদতের বহু গুণ ফজিলত, কোরান নাজিল হওয়া, কোরআন নাজিলের রাতে শবেকদরের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম হওয়ার সব বিষয়কে পাশাপাশি দাঁড় করালে কোরান ও রমজানের অপূর্ব যোগসূত্র উপলব্ধি করা যায়। অন্যদিকে উদ্দেশ্য ও ফলাফল বিচারেও রমজান এবং কোরানের আবেদনগত একটি অভিন্নতা প্রতিভাত হয়।
পবিত্র কোরানের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে সূরা বাকারার শুরুতেই ইরশাদ হয়েছে, হুদাললিল মুত্তাকিন অর্থাৎ এই গ্রন্থ মুত্তাকিদের জন্য হেদায়েতস্বরূপ। সূরা বাকারাতেই রমজানের রোজার বিধান দেয়ার উদ্দেশ্য ও ফলাফল তুলে ধরে ইরশাদ হয়েছে, ‘যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার।’ কোরআন ও রমজানের সঙ্গে তাকওয়া ও মুত্তাকির বিভিন্ন সম্পর্কের বিশেষণ করলেও রমজান এবং কোরআনের নিবিড় সম্পর্কের নানা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
সুতরাং এ মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও চর্চা। এ বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমেরই মনোযোগী হওয়া দরকার। পবিত্র কোরআনের প্রতি উম্মাহর শ্রদ্ধা প্রকাশের পথে প্রথম করণীয় হচ্ছে, সহিহভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে শেখা ও তেলাওয়াত করা। দ্বিতীয় করণীয় হচ্ছে, কোরআনের অর্থ, মর্ম ও বক্তব্য অনুধাবনের চেষ্টা করা। নিজ নিজ সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। তৃতীয়ত, কোরআনের আদেশ-নিষেধ মেনে জীবনকে পরিচালনা করা। কোরআনচর্চা বলতে এই তিনটি বিষয়েরই সমন্বয় বোঝায়। মানুষের ঐকান্তিক সফলতা নিহিত আছে কোরআনচর্চা ও বাস্তব জীবনে তা প্রতিফলিত করার মধ্যে। আমাদের উভয় জাহানে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে কোরানকে আঁকড়ে ধরার কোনো বিকল্প নেই আর পবিত্র মাহে রমজানই হচ্ছে এর উপযুক্ত সময়।
(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/জেবি)