মুমিনের অনন্য প্রাপ্তির মাস
ইসলাম ডেস্ক
২৬ জুন, ২০১৫ ১৪:২১:১৩

ঢাকা: মানুষের সাফল্যের অপার সম্ভাবনা নিহিত আছে পবিত্র রমজান মাসে। এ মাসে প্রভুর অফুরন্ত রহমতের বারিধারা বর্ষিত হয়। তার নেয়ামতের ভাণ্ডার খুলে দেওয়া হয়। মুক্তির সুসংবাদ পৌঁছে দেওয়া হয় মুমিনের দুয়ারে দুয়ারে। রমজান মুমিন জীবনের অনন্য প্রাপ্তি। রোজার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের বহুমুখী কল্যাণের সন্ধান দেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তান সবসময় ওতপেতে থাকে; কিন্তু রমজানের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শয়তানকে বন্দি করে রাখা হয়। এ জন্য রমজানে শয়তানের মন্ত্রণার ঝুঁকি থাকে না। রমজানে বেহেশতের দুয়ার খুলে দেওয়া হয়, আর দোজখের দুয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। যারা জীবনের স্রোতধারা সঠিক পথে প্রবাহিত করতে চান, তাদের জন্য রমজান অনেক বড় আশীর্বাদ। এ মাসের প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর একজন ফেরেশতা মানুষকে অপরাধ থেকে বিরত থাকার এবং ভালো কাজ করার আহ্বান জানান।
এজন্য জীবন সাজানোর এটাই উপযুক্ত সময়। কম কাজে বেশি প্রতিদান পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রমজান মাস। এ মাসের একটি ফরজ অন্য মাসের সত্তরটি ফরজের সমান। এ মাসের এক রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। কেয়ামতের দিনে যখন আর কোনো অবলম্বন থাকবে না তখন রোজা সুপারিশ করে বান্দাকে তার পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য জান্নাতে পৌঁছে দেবে। যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে রোজা রাখবে তাকে সম্পূর্ণ পাপমুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে।
রমজানের রোজার প্রাপ্তি নির্ভর করে আমাদের একনিষ্ঠতার ওপর। আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ না হলে রোজার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে না। কারণ সিয়াম সাধনা এমন একটি ইবাদত, যাতে রিয়া বা লৌকিকতার কোনো সুযোগ নেই। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে, চুপিচুপি খেলে দুনিয়ার কেউ দেখবে না। তবুও রোজাদার খান না। কারণ তার অন্তরে বিশ্বাস আছে, দুনিয়ার কেউ না দেখুক আমার স্রষ্টা মহান রাব্বুল আলামিন তো অবশ্যই দেখছেন। রোজা তো রাখা হয় একমাত্র আল্লাহর জন্য। এজন্য রোজার প্রতিদানও অন্য যে কোনো ইবাদতের চেয়ে বেশি।
রাসূল (সা.) বলেছেন, 'আল্লাহতায়ালা বলেন, মানুষ কেবল আমার উদ্দেশ্যেই রোজা রেখে তার প্রবৃত্তি দমন করেছে এবং পানাহার ত্যাগ করেছে। সুতরাং এর পুরস্কার আমি নিজেই (যত ইচ্ছা) দান করব।' রমজান মানুষকে নতুন জীবন দান করে। রমজানের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। পরকালের পাথেয় সংগ্রহের জন্য রমজানের চেয়ে বেশি সম্ভাবনা আর কিছুতেই নেই। এজন্যই রাসূল (সা.) আক্ষেপ করে বলেছেন, 'যে ব্যক্তি রমজান পেল কিন্তু তার জীবনের বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করাতে পারল না, সে বড়ই দুর্ভাগা!
(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/জেবি)