logo ১৮ মে ২০২৫
মুমিনের বিশ্বাস
ইসলাম ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:১৯:২৫
image

ঢাকা: মুমিন জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান বা বিশ্বাস। একজন মুসলমানের কাছে ঈমানের চেয়ে প্রিয় কোনো বস্তু নেই। ঈমানদার সব কষ্ট সহ্য করতে পারে, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে, কিন্তু ঈমান ছাড়তে পারে না। ঈমানই তার কাছে সবকিছু থেকে বড়। ঈমান শুধু মুখে কালেমা পড়ার নাম নয়, ইসলামকে তার সব অপরিহার্য অনুষঙ্গসহ মনেপ্রাণে কবুল করার নাম। আর একারণে মুমিনকে হতে হবে সুদঢ়, সত্যবাদী ও সত্যনিষ্ঠ। মুমিন কখনও শৈথিল্যবাদী হতে পারে না।


ঈমান হলো ওহীর মাধ্যমে জানা সব সত্যকে সত্য বলে বিশ্বাস করার নাম। সংশয় ও দোদুল্যমানতার মিশ্রণ ঈমানে হতে পারে না। কারও ভেতরে সংশয় থাকলে সে পুরোপুরি ঈমানদার নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তারাই মুমিন যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনে, পরে সন্দেহ পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারাই সত্যনিষ্ঠ।’ ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো, কোনো বিষয়কে শুধু আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি আস্থার ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে মেনে নেয়া ও বিশ্বাস করা। সচক্ষে দেখার পর ঈমান আনার আর কী থাকে? চোখে দেখা বিষয়কে তো কেউই অস্বীকার করতে পারে না।


অন্তরের বিশ্বাসের সঙ্গে মুখেও সত্যের সাক্ষ্য দেয়া ঈমানের অন্যতম ভিত্তি। হকের সাক্ষ্য দেয়া মুমিনের পরিচয়। মুমিন কখনও সত্য গোপন করে না অর্থাৎ সত্যকে জেনেও তা স্বীকার করা থেকে বিরত থাকে না। কখনও মিথ্যা ও অবাস্তব সাক্ষ্যও দেয় না। অসত্য ও অবাস্তবের সাক্ষ্য দেয়া তো কাফের-মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য। মুমিন তো এমন সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করে।


ঈমান আনার অনিবার্য অর্থ, বান্দা নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করবে। তাঁর প্রতিটি আদেশ শিরোধার্য করবে। আল্লাহর প্রতি ঈমান আর আল্লাহর বিধানে আপত্তি একত্র হতে পারে না। রাসুলের প্রতি ঈমান আর তাঁর আদর্শের ওপর আপত্তি, কুরআনের প্রতি ঈমান আর তার কোনো আয়াত বা বিধানের ওপর আপত্তি কখনও একত্রিত হয় না। ইসলামকে শুধু সত্য ও সুন্দর জানা বা বলার নাম ঈমান নয়। কারণ, হক ও সত্যকে শুধু জানা বা মুখে বলা ঈমান সাব্যস্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। ঈমান তো তখনই হবে যখন এই সত্যকে মনেপ্রাণে কবুল করবে এবং এর সম্পর্কে অন্তরে কোনো দ্বিধা থাকবে না।


(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/জেবি)