logo ১৭ মে ২০২৫
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০৯:৫০:১৯
image

ঢাকা: চার দিন বিরতির পর আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৬ সালের বিশ্ব ইজতেমা।


শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইতোমধ্যে লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে তুরাগের পূর্ব তীর।ইজতেমার শেষ পর্ব শুক্রবার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করে।


এবারই প্রথমবারের মতো দেশের মোট ৩২টি জেলা নিয়ে ইজতেমার দুই পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।আগামী বছরের বিশ্ব ইজতেমা বাকি ৩২ জেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে অংশ নিয়েছে ঢাকার একাংশসহ ১৭টি জেলার তাবলিগ অনুসারীরা।


১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে নিয়মিতই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মুসল্লিদের চাপ কমাতে ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমাকে দুই পর্বে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে এ ধারায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।


ইতোমধ্যে ইজতেমার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয় আগেই। মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ নদীতে আটটি ভাসমান পন্টুন সেতু নির্মাণ করা হয়।


১৬০ একর জমির ওপর নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলের কাজ, খুঁটিতে নম্বর প্লেট, খিত্তা নম্বর, জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা, তাশকিল কামরা, হালকা নম্বর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। মুসল্লিরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বয়ান শুনতে পারেন সেজন্য পুরো মাঠে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক প্রায় সাড়ে ৩০০ বিশেষ ছাতা মাইক স্থাপন করা হয়েছে।


মুসল্লিদের খিত্তাওয়ারি অবস্থান: কোন জেলার মুসল্লিরা কোন খিত্তায় অংশ নেবেন তা হল- ঢাকা জেলা (১ থেকে ৭) নং খিত্তা, ঝিনাইদহ ৮নং খিত্তা, জামালপুর (৯ ও ১১)নং খিত্তা, ফরিদপুর ১০নং খিত্তা, নেত্রকোনা (১২ ও ১৩)নং খিত্তা, নরসিংদী (১৪ ও ১৫)নং খিত্তা, কুমিল্লা (১৬ ও ১৮)নং খিত্তা, কুড়িগ্রাম ১৭নং খিত্তা, রাজশাহী (১৯ ও ২০)নং খিত্তা, ফেনী ২১নং খিত্তা, ঠাকুরগাঁও ২২নং খিত্তা, সুনামগঞ্জ ২৩নং খিত্তা, বগুড়া (২৪ ও ২৫)নং খিত্তা, খুলনা (২৬ ও ২৭)নং খিত্তা, চুয়াডাঙ্গা ২৮নং খিত্তা এবং পিরোজপুর জেলার মুসল্লিরা ২৯নং খিত্তায় অবস্থান নেবেন।


ইজতেমা মাঠের দায়িত্বে নিয়োজিত মুরব্বি গিয়াসউদ্দিন জানান, প্রতিবারের মতো ইজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিমাংশে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষভাবে টিনের ছাউনির মাধ্যমে পৃথক কামরা তৈরি করা হয়েছে।


গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য ইজতেমাস্থলে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছেন। এ ছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্যকে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে।


(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/এমআর)