logo ১৮ মে ২০২৫
এবার শুধু ৩২ জেলার ইজতেমা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০২ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:৩২:০৫
image

ঢাকা: গত কয়েক বছর ধরে দুই পর্বে ৬৪ জেলার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও এবার ছোট করা হচ্ছে ইজতেমার পরিসর। এবারের দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নেবে ৩২ জেলার লোক। বাকি ৩২ জেলা আগামী বছর অংশ নেবে।


আগামী ৮ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে। ১০ জানুয়ারি রবিবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত।


১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্যায় অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার থেকে বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।


৭৩ বছর ধরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ভারতবর্ষের দক্ষিণ দিল্লিতে ১৯৪১ সালের নভেম্বরে নিজামউদ্দিন মসজিদের নূহ্ মাদ্রাসায় প্রথম বড় করে তাবলিগ ইজতেমার সূচনা হয়। পবিত্র জুমাবাদ ইজতেমা শুরু হতো।


হজরত মাওলানা আব্দুল আজিজের (রহ.) মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে চট্রগ্রাম হাজী ক্যাম্পে, ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে, ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগারের জাকারিয়া মিল প্রাঙ্গণ ও তৎসংলগ্ন এলাকায়, পরে তুরাগ নদী তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা।


বাংলাদেশ রেলওয়ের টঙ্গী জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সেবাদানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক এমপি, রেলওয়ে সচিব এবং ডিজির নির্দেশনায় ইজতেমা শুরুর পূর্ব থেকে ৬৭টি ট্রেন টঙ্গি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।


ইতোমধ্যে মুসল্লিদের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশ্রামাগার, অজু, গোসলখানা ও টয়লেট। আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১১১টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রেল পুলিশ, আনসার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।


বিআরটিসি মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ বাস সর্ভিস চালু করবে।


বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম মুরব্বি মো. জামির আলী জানান, ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্তে ইজতেমার পরিধি ছোট করা হয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তাবলিগের কাজ আরও প্রসারিত হচ্ছে।


(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/জেবি)