logo ১৭ মে ২০২৫
গোনাহের মহৌষধ
ইসলাম ডেস্ক
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১৮:৪২
image



ঢাকা: মানুষের মনে যখন কেউ দেখে ফেলার ভয় থাকে তখন সে অপকর্ম করে না। কারও কাছে ধরা খাওয়ার ভয় থাকলে তো তার সামনে অন্যায় কাজ করার চিন্তাও করে না। তেমনি মানুষের মধ্যে যখন আল্লাহর ভয় ডুকে যায় তখন তার দ্বারা কোনো গোনাহ হতে পারে না। পৃথিবীর আর কেউ না দেখুক, অন্তত আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন-এই ভয়টুকু যাদের অন্তরে ঢুকে গেছে তাদের দ্বারা আর কোনো গোনাহ হতে পারে না। পৃথিবীর কোনো শক্তিই মানুষকে অন্যায়-অনাচার থেকে বিরত রাখতে পারবে না, যদি না মানুষ নিজে থেকে সংশোধন হয়। তবে একমাত্র আল্লাহভীতি কারও অন্তরে ঢুকে গেলে দুনিয়ার আর কোনো নিয়ম-নীতি ও বিধি-নিধেষ তার ওপর আরোপ করতে হবে না।






রাসুল (সা.) সাহাবায়ে কেরামের অন্তরে এই ভয়টাই ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে তাদের মনের অবস্থা এমন শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, তাদের দ্বারা কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অস্থিত হয়ে উঠতেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা না করছেন ততক্ষণ তারা স্বস্তি পেতেন না। আল্লাহর আদালতের বিচারের ভয় কারো অন্তরে ঢুকলে দুনিয়ার কোনো আদালতের ভয় আর তাকে দেখানোর প্রয়োজন নেই। সে আল্লাহর আদালতের ভয়েই অন্যায়-অনাচার থেকে বিরত থাকবে।






তবে শয়তান মানুষকে আল্লাহর আদালতের কথা ভুলিয়ে মাঝে মাঝেই গোনাহের কাছে লিপ্ত করায়। শয়তান প্রবঞ্চনা দেয়, মানুষের অন্তর থেকে মৃত্যুর কথা ভুলিয়ে দেয়। অনেক সময় প্রথমে ছোট গোনাহে লিপ্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে শয়তান। পরে এটাই টেনে নিয়ে যায় বড় গোনাহের দিকে। এভাবে মানুষের দ্বারা একদিন বড় বড় গোনাহ করিয়ে নেয় শয়তান। এজন্য শয়তানের প্রবঞ্চনা থেকে সব সময় বেঁচে থাকতে হবে। নানা কৌশলে শয়তান মনে মনে ধোঁকা দেয়ার করতে পারে।






একজন মুমিনকে সবসময় স্মরণ রাখতে হবে, আমি জন্মেছি, মরতে হবেই। আর এই জীবনই আমার শেষ নয়, আমাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমি আজ যা করছি সেটা আল্লাহ দেখছেন। সুতরাং সেদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আমি কী জবাব দেব। আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার এই বোধই হলো তাকওয়া বা খোদাভীতি। এটাই মানুষের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার মহৌষধ। এই মহৌষধ প্রয়োগ করলে গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য আর কোনো চেষ্টা তদবিরে প্রয়োজন পড়বে না।






(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/জেবি)