ভালো কাজের উৎসাহেও সওয়াব
ইসলাম ডেস্ক
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৭:২১:৪৪

ঢাকা: মানুষকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করা প্রশংসনীয়। হাদিসে এই কাজকে সদকা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবু যর গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমার জন্য কাউকে কোনো ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকার নসিহত করাও সদকা। আর রাস্তা ভুলে যাওয়া কাউকে সঠিক রাস্তা বলে দেয়াও তোমার জন্য সদকা।’ (তিরমিজি) যেমন কাউকে নামাজের জন্য উৎসাহিত করা; মসজিদে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দেয়া; কেউ সুন্নত পরিপন্থি কাজ করছে তাকে এ থেকে বারণ করা; মোটকথা কোনো সওয়াবের কাজে উদ্বুদ্ধ করাও অনেক সওয়াবের কাজ। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘কোনো নেক কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারীও নেক কর্মশীলের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।’
আমাদের সমাজে এ বিষয়টির প্রতি প্রায়ই গাফিলতি করা হয়। কেউ কোনো সহযোগিতা চাইলে তাকে অবশ্যই সহযোগিতা করা উচিত। যেমন কেউ কোনো রাস্তা সম্পর্কে জানতে চাইলো। তাকে সঠিক রাস্তাটি বলে দেয়াও একটি ইবাদত। এরজন্যও আল্লাহর কাছে সওয়াব পাওয়া যাবে। তাছাড়া কেউ কোনো অসৎ পথে যেতে দেখলে তাকে বারণ করাও প্রত্যেকের দায়িত্ব। বিপথগামী কাউকে সেই পথ থেকে রক্ষা করাও একটি সওয়াবের বিষয়। সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থার জন্য মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেয়া এবং অবাঞ্ছিত পথ থেকে বিরত রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সমাজে সবাই সচেতন; মানুষকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করে সেই সমাজই সেরা।
কোরআন-হাদিসে মানুষকে সৎ সঙ্গ অবলম্বনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। কারণ মানুষের সঙ্গী সৎ হলে তাকে সৎ পথে পরিচালিত করবে। আর সঙ্গী অসৎ হলে তাকেও পরিচালিত করবে অসৎ পথে। কথা আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। সঙ্গীগুণে লোহা জলে ভাসে। একজন ভালো সঙ্গী এবং যোগ্য অভিভাবকের নির্দেশনায় মানুষ কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের পথে অনেক ধাপ এগিয়ে যায়। আবার অন্যের সতর্কতার কারণে মানুষ ভয়াবহ পরিণতি থেকেও বেঁচে যায়। এজন্য সবার উচিত মানুষের মধ্যে সৎ চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটানো। অসততা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রতি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা। প্রতিটি সদস্য সৎ কাজের ব্যাপারে সচেতন এবং অসৎ কাজের ব্যাপারে সতর্ক হলে সমাজ আরও বেশি সুন্দর ও সুসংহত হবে। এটা শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়; ধর্মীয় দায়িত্বও।
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/জেবি)