আল্লাহকে স্মরণ করার ফায়েদা
ইসলাম ডেস্ক
২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:১৮:৪২

ঢাকা: আল্লাহকে স্মরণ করাই হচ্ছে জিকির। স্রষ্টাকে স্মরণ করতে আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন পড়ে না। মানুষ সবসময়ই আল্লাহর জিকির করতে পারে। কোরানে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর এবং সকাল-বিকাল আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা কর।’ অর্থাৎ এই কথার ঘোষণা দাও যে, আল্লাহ তায়ালা সব দোষ-ত্রুটির ঊর্ধ্বে। সকাল-বিকেল আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা কর।
আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের নির্দেশ দিচ্ছেন তারা যেন তাকে সবসময় স্মরণ করে। তারা যেন সবসময় আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকে। আখেরাতে আল্লাহ তায়ালা জিকিরের বিনিময় দেবেন। এটা জিকিরের একটি বড় উদ্দেশ্য। একবার সুবহানাল্লাহ আরেকবার আলহামদুলিল্লাহ বলে নিন, মিজানের পাল্লা নেকি দ্বারা ভরে যাবে। এটা তো আখেরাতের বিষয়। তবে দুনিয়াতেও এর একটি ফায়দা আছে। তা হলো যে বান্দা বেশি বেশি জিকির করে, আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে; সে গুনাহ ও অপরাধমূলক কাজ কম করে। এর কারণ হলো দুনিয়াতে যত গোনাহ ও অন্যায় আছে, যত অধিকার বিনষ্টের বিষয় আছে, যত অত্যাচার-নির্যাতন আছে এর সব কিছুর পেছনে মূল কারণ আল্লাহকে ভুলে যাওয়া।
চোর চুরি করে, কেউ অন্যের হক নষ্ট করে, কেউ কারো ওপর জুলুম করে, কেউ মিথ্যা কথা বলে এসব কেন? এর একমাত্র কারণ অন্তরে আল্লাহ নেই। অন্তরে আল্লাহর কথা থাকলে এই অন্যায় কাজ করার সময় তার সামনে আল্লাহর অস্তিত্ব ভেসে উঠত। তখন সে আর অন্যায়-অপকর্ম করতে পারত না। হাদিসে আছে, ‘ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে, তখন সে আর মুমিন থাকে না।’ অর্থাৎ আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে নিজের কৃতকর্মের জবাবদিহিতার বোধ তখন তার অন্তর থেকে বিদায় নেয়। এর কারণে সে অন্যায়ে লিপ্ত হয়ে যায়। যখন বান্দার মধ্যে এই বিষয়টি কাজ করে, আমাকে আল্লাহর সামনে কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে তখন সে আর অন্যায়ে লিপ্ত হতে পারে না। কোনো কারণে গুনাহ হয়ে গেলেও তৎক্ষণাৎ সে আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে। গুনাহের অপকারিতা থেকে ফিরে আসবে।
আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করার কারণে মানুষের মনে জবাবদিহিতার বোধ জাগ্রত হয়। এই অনুভূতির কারণেই গভীর জঙ্গলে আর রাতের আঁধারেও মানুষ গুনাহ ও অন্যায় থেকে বেঁচে থাকে।
(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/জেবি)