পথহারা মানুষের দিশায় তাবলিগ
ইসলাম ডেস্ক
১৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:৩৭:৫৮

ঢাকা: তাবলিগ জামাতের সাথীদের সবচেয়ে বড় সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমা। এর প্রধান লক্ষ্য পথহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেয়া। মুসলমান সংখ্যায় অনেক, কিন্তু বাস্তব জীবনে ইসলামের অনুশীলন করেন এ রকম মানুষের সংখ্যা অসংখ্য নয়। যারা ইসলামে থেকেও ইসলাম থেকে দূরে সরে আছেন তাদের দীনের গণ্ডিতে নিয়ে আসতেই তবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠা।
আল্লাহর রাস্তায় নিবেদিত বান্দাদের কার্যক্রম মূল্যায়ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সাধারণ মুসলমানের মধ্যে দীনের স্পিরিট জাগাতেই প্রতিবছর ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ইজতেমার বয়ানগুলোর মূল বিষয়ই হলো, মুমিন বান্দার অন্তরে আখেরাতের ভাবনা জাগ্রত করা। পরিশীলিত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনাচারে উদ্বুদ্ধ করা। ইজতেমা ময়দান থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ বেরিয়ে যান দীনের রাস্তায়। নিজেদের অর্থ ও শ্রম ব্যয় করে দিন শেখেন, অন্যদের শেখান। এভাবে তবলিগের কার্যক্রম সারাবিশ্বে বিস্তৃতি ঘটেছে। লাখ লাখ মুবাল্লিগ সারা বছর পৃথিবীর নানা প্রান্তে তবলিগের কাজে নিয়োজিত থাকেন। পথহারা অগণিত মানুষ তবলিগের সন্ধান পেয়ে জীবন সাজানোর সুযোগ লাভ করছে।
মানুষকে সভ্য, শালীন, মার্জিত করার পেছনে তবলিগের ভূমিকা বেশ কার্যকর। বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবতই ধর্ম প্রাণ। ধর্মের প্রতি বিশেষ এ অনুরাগের কারণেই বিশ্ব ইজতেমার মতো আন্তর্জাতিক একটি মুসলিম সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। দারিদ্র্যপীড়িত সমস্যাসংকুল একটি দেশের মানুষ আমরা। বিদেশে গিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হওয়ার সামর্থ্য এ দেশের খুব বেশি মানুষের নেই। কিন্তু প্রতিটি মানুষের মধ্যে আছে আবেগ, ভালোবাসা ও খোদাপ্রেমের জ্বলন। এজন্য হয়তো খোদার কৃপাদৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে আমাদের প্রতি। বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় মহাসমাবেশের আয়োজক হিসেবে কবুল করেছেন বাংলাদেশকে।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আজ বেশ উজ্জ্বল। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক হিসেবে বিশ্বমিডিয়ায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি পজেটিভভাবে উপস্থাপিত হয়। ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিদেশি মেহমান যারা আসেন তারাও বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি সুধারণা নিয়ে যান। এদেশের মানুষের ধর্মীয় আবেগ, শৃঙ্খলাবোধ, আতিথেয়তা সবই তাদের মনে দাগ কেটে যায়। যারা বাংলাদেশ সম্পর্কে আগে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন তারাও বিশ্ব ইজতেমায় এসে একটি পজেটিভ বাংলাদেশের সন্ধান পান। ইজতেমার কারণে সারাবিশ্বের সঙ্গে আমাদের আদান-প্রদান ঘটে, ভাব বিনিময় হয়। এর ফলে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়ভাবে যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধি অর্জন করছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/জেবি)