logo ০৯ জুন ২০২৫
হালাল উপার্জনে বরকত, হারামে ধ্বংস
ইসলাম ডেস্ক
১৯ মার্চ, ২০১৬ ১৭:৩২:৩৩
image



ঢাকা: অনেক মুসলমান ভালো কাজ করে, নেক আমল করে; কিন্তু উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারাম বিচার করে না। সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতির কোনো ধার ধারে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, একটা সময় আসবে, যখন মানুষ ধন-সম্পদ হালালভাবে উপার্জন করল না হারামভাবে, তার দিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করবে না। রাসুলের সেই ভবিষ্যদ্বাণী অনেকটাই এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে। হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তি দুনিয়াও হারায়, আখেরাতও হারায়। তার কোনো আমল আল্লাহ তায়ালার কাছে কবুল হয় না। তার দোয়া কবুল হয় না। কোনো বরকত থাকে না তার সম্পদে।



প্রকৃত বিষয় হলো, ব্যবসা বা চাকরি যেভাবেই উপার্জন হোক তা যেন শরিয়তের গণ্ডির ভেতরে হয়। অনেক সময় মানুষ ভাবে, এক্ষেত্রে আমি শরিয়তের কথা বিবেচনা করলে আমার ব্যবসায় লাভ কম হবে। এটা একটি ধোঁকা। মনে রাখবেন, প্রকৃত বিষয় টাকা-পয়সার আধিক্যে নয় বরং আসল বিষয় হলো গুণগত মানের দিক থেকে। আল্লাহ তায়ালা অনেক কম আয়েও বরকত দান করতে পারেন। অনেক সময় অল্প টাকায় আল্লাহ এমন বরকত দান করেন যে, এর দ্বারা অনেক কাজ সম্পন্ন করা যায়। আবার অনেক সময় বেশি পরিমাণের টাকা-পয়সা দিয়েও তা করা যায় না। বেশি টাকা অনেক সময় রোগের জন্য হাসপাতালে কিংবা মামলা-মোকাদ্দমার জন্য আদালতে খরচ হয়ে যায়।






এ জন্য টাকা-পয়সার আধিক্যের দিকে নজর না দিয়ে তার গুণগত মান তথা হালাল উপার্জনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ আল্লাহ তায়ালা সবসময় হালাল উপার্জনে বরকত দান করেন।  পক্ষান্তরে হারাম সম্পদে কোনো বরকত হয় না। আল্লাহ বলেন, ‘আমি সুদকে নিশ্চিহ্ন করি আর দান-খয়রাতকে বাড়িয়ে দেই।’ লোকেরা বলে, সুদ দ্বারা সম্পদ বাড়ে। কিন্তু আল্লাহ বলেছেন, সুদ দ্বারা সম্পদ বাড়ে না বরং এর বরকত শেষ হয়ে যায়। আর এর দ্বারা যে স্বাচ্ছন্দ্য লাভের কথা তা শেষ হয়ে যায়। আজ দুনিয়ায় চলছে শুধু গণনা। এ কারণে লোকদের ধারণা, গোনায় বেশি হলেই আমাদের লাভ হবে। কিন্তু মূলত গোনায় বৃদ্ধির কারণে ফায়দার চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি। এ জন্য আমরা প্রতিজ্ঞা করি, যে পয়সা উপার্জন করব তা হালাল পন্থায় করব। এটা পরিমাণে কম হলেও এতে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করবেন। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে উপার্জন করলে আল্লাহ এটাকে ইবাদত হিসেবে গণ্য করবেন।






(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/জেবি)