জান্নাতের পথে প্রতিবন্ধক যেসব কাজ
ইসলাম ডেস্ক
০১ এপ্রিল, ২০১৬ ১৬:৩৭:০৬

ঢাকা: মুমিনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পরকাল। সেখানে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা লাভের জন্যই পার্থিব জীবনের যাবতীয় চেষ্টা-সাধনা। পরম শান্তির আলয় জান্নাত লাভই মুমিনের একান্ত টার্গেট। তবে সেই টার্গেট পূরণে বাধা সৃষ্টি করে এমন কিছু কাজ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। সেই কাজগুলো মধ্যে রয়েছে ঈমান না আনা। জান্নাত লাভের পূর্বশর্ত হচ্ছে ঈমান। হাদিসে আছে, ‘তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া যাবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’
অহংকার জান্নাত লাভের পথে বড় বাধা। চোগলখুরি ও পরনিন্দাকারী জান্নাতের সুবাস পাবে না। যারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতের গন্ধও পাবে না। হারাম সম্পদ উপার্জন এবং হারাম খাবার থেকে সতর্কতার সঙ্গে বেঁচে থাকতে হবে। হাদিসের ভাষ্য হচ্ছে, যে ব্যক্তি হারাম অর্থ ও অবৈধ উপার্জন দ্বারা দেহ গঠন করেছে জাহান্নামের আগুনই তার প্রাপ্য। উপকার করে খোঁটা দেয়াও মুমিনের কাজ নয়। ভালো-মন্দ যা কিছু হয় বা ঘটে সবই তাকদিরের অংশ। এখানে কারও হাত নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি নিরঙ্কুশ বিশ্বাসে ভাটা পড়লেই বিপদ। যাদু, গণক এসবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে অযথাই ঈমানকে হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। মদ-গাঁজার প্রতি ঘৃণা জন্মাতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পাঁচ শ্রেণির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (তারা হলো) মদ্যপায়ী, যাদুর বৈধতায় বিশ্বাসী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, চোগলখোর এবং গণক।’
কারও ওপর ঋণ থাকলে অবশ্যই তা দ্রুত পরিশোধ করে নিতে হবে। কারণ জান্নাত লাভের পথে বড় বাধা হলো ঋণ। এটা বান্দার হক, আল্লাহও তা ক্ষমা করবেন না। হাদিসে আছে, ‘শহীদের ঋণ ছাড়া সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ পুরুষ বেশধারী নারী এবং নারীর বেশধারী পুরুষ জান্নাতে যাবে না। এছাড়া বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক, অহংকারী দরিদ্র, কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক জান্নাতে যাবে না বলে হাদিসে উল্লেখ আছে। শাসকের বিশ্বাসঘাতকতা, মানুষের রক্ত প্রবাহিত করা এবং নারীর লাগামহীন চলাফেরা জান্নাতের পথে প্রতিবন্ধক। পরম আকাঙ্ক্ষিত জান্নাত লাভের জন্য অবশ্যই এসব থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/জেবি)