প্রিয়জনের মৃত্যুতে বাড়ে হৃদরোগ
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
০৭ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:০৫:৪৯

ঢাকা: কাছের কোনো মানুষকে হারোনোর শোকে সত্যি সত্যিই হৃদয় ভেঙে যেতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। তবে এই হৃদয়ের ভাঙন দীর্ঘ সময়ের জন্য।
গবেষকরা বলেন, সঙ্গী বা প্রিয় মানুষটার বিয়োগে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ঝুঁকি থাকে পরবর্তী ১২ মাস। এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ৬০ বছরের কম বয়সী লোকদের মধ্যে। অপ্রত্যাশিতভাবে সঙ্গী হারানোর কারণেই এমন হয়।
ডেনমার্কের গবেষকরা ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আটরিয়াল ফাইব্রিলেশনে(হৃদস্পন্দনের তারতম্যের সমস্যা। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, ধীর গতির স্পন্দন, দ্রুত গতির হৃদস্পন্দন দেখা যায়) আক্রান্ত প্রায় ৮৯ হাজার ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত এই তথ্য আট লাখ ৮৬ হাজার স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির তথ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
আটরিয়াল ফাইব্রিলেশনের ঝুঁকির বেশ কিছু উপাদান খুঁজে পেয়েছেন গবেষক। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, প্রিয়জন বিয়োগের সময়কাল, বয়স, লিঙ্গ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, মৃত্যুর এক মাস আগে সঙ্গীর স্বাস্থ্য এবং যখন থেকে তারা একা ছিল। গবেষকরা ১৭ হাজার ৫০০ আটরিয়াল ফাইব্রিলেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খুঁজে পান, যারা সঙ্গী হারিয়েছিলেন।
সঙ্গী বা প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। গবেষণা নিবন্ধটি বিএমজে’স ‘ওপেন হার্ট’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়।
প্রিয়জনের মৃত্যুর আট থেকে ১৪ দিন এই ঝুঁকির পরিমাণ বেশি থাকে। এক বৎসর পর ধীরে ধীরে এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
(ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/এসআই)