logo ১৬ মে ২০২৫
দুনিয়ার কাজও দ্বীনে পরিণত হয় যেভাবে
ইসলাম ডেস্ক
০৮ এপ্রিল, ২০১৬ ১৭:৫৬:৩৪
image



ঢাকা: প্রতিটি আমলের প্রতিদান নির্ভর করে নিয়তের ওপর। নিয়ত মানে অন্তরের ইচ্ছা। ইখলাসে নিয়ত মানে হচ্ছে ইচ্ছার পরিশুদ্ধতা এবং ইচ্ছাকে একমাত্র আল্লাহর জন্য করা। নিয়ত এমন এক পরশ পাথর যা মাটিকেও সোনায় রূপান্তর করে। কারণ নিয়ত বিশুদ্ধ হলে ইবাদত কবুল হবে। আর নিয়ত পরিশুদ্ধ না হলে দ্বীনের কাজও দুনিয়া হয়ে যায়। আর নিয়ত ভালো থাকলে দুনিয়ার কাজও দ্বীনে পরিণত হয়। নিয়তের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে কোনো মেহনত করতে হয় না, কোনো টাকা-পয়সাও খরচ করা লাগে না। আমাদের কাজগুলোতে নিয়ত বিশুদ্ধ করে নিলে যাবতীয় জায়েজ কাজ ইবাদতে গণ্য হবে। আমরা সারাদিন অসংখ্য কাজ করি। সব কাজের শুরুতে মনে মনে নিয়তটাকে বিশুদ্ধ করে নিলে সবই ইবাদতে গণ্য হবে।






নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত এসব দ্বীনি কাজ। এগুলোও নির্ভর করে নিয়তের ওপর। কেউ ব্যবসা করে, বাহ্যত এটা জাগতিক কাজ, পরকালীন কোনো কাজ না। কিন্তু সে যদি ব্যবসা করতে গিয়ে এই নিয়ত করে নেয় যে, আমি ব্যবসা করছি যাতে অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়; কষ্ট করে হালাল রুজি কামাই করবো; তাহলে এই ব্যবসার জন্য সে সওয়াব পাবে। এমনিভাবে কেউ এজন্য চাকরি করে যাতে অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়, হালাল রুজির মাধ্যমে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচবে তাহলে তার এই আট দশ ঘণ্টার চাকরি পুরোটাই ইবাদতে গণ্য হবে। কারণ কাজের প্রতিদান নির্ভর করে এর নিয়তের ওপর। নিয়ত বিশুদ্ধ হলে আমলও বিশুদ্ধ হবে। নিয়ত বিশুদ্ধ না হলে অথবা কোনো নিয়তই না থাকলে কাজ বিশুদ্ধ হবে না।






তবে নিয়তের কারণে যে সওয়াব পাওয়া যায় এটা শুধু জায়েজ কাজে। কোনো ব্যক্তি যদি গোনাহের কাজে লিপ্ত হয় আর তার সওয়াবের নিয়ত থাকে তাহলে তা গোনাহই হবে, সওয়াব হবে না। যেমন কেউ মনে মনে নিয়ত করলো, আমি চুরি করে অথবা ডাকাতি করে সব মালামাল সদকা করে দেব; তাহলে তার এই সদকার ছিঁটেফোটা সওয়াবও মিলবে না। বরং উল্টো তার কবিরা গোনাহ হবে। কারণ নীতিমালা হলো হারাম কাজ কখনও নিয়তের কারণে হালাল হয় না। এজন্য পার্থিব ও দ্বীনি প্রতিটি কাজ বিশুদ্ধ নিয়তে করলে তা সওয়াব হিসেবে গণ্য হবে।






(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/জেবি)